বহু বছর ধরে ওই চাষির করা ভুলটি কেউ ধরতে পারেনি। ফলে এত বছর ধরে ফ্রান্স তাদের অধিকারের প্রায় আড়াই মিটার জায়গা হারিয়ে বসেছিল।
ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মধ্যে সীমানা ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ১৮২০ সালে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নির্ণয়ের জন্য ওই পাথর পুঁতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বেলজিয়ামের সেই চাষী পাথরটির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেননি। বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের সীমান্ত বরাবর চাষের জমি ছিল তাঁর। সেখানে চাষবাস করে তাঁর জীবন কাটত। বারবার সেই চাষীর ট্রাক্টর-এর সামনে সীমান্ত ভাগাভাগি করা পাথরটি চলে আসত। তাই একটা সময় বিরক্ত হয়ে পাথরটিকে নির্ধারিত জায়গা থেকে তুলে কিছুটা দূরে বসিয়ে দেন ওই চাষী। পাথরের ফলকটি সরে যাওয়ার পরও দুই দেশের কেউ লক্ষ্য করেনি।
advertisement
এত বছর কোনো সমস্যা হয়নি। শেষ পর্যন্ত একজন ইতিহাসবিদ ওই চাষির করা ভুল বুঝতে পেরেছেন। ইতিহাসবিদ বনের রাস্তা ধরে হাঁটার সময় খেয়াল করেন, যে পাথরটির সীমানা চিহ্নিত করার কথা সেটি সঠিক জায়গায় নেই। এর পর ইতিহাসবিদ ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ইতিহাসবিদ ওই ভুল ধরার পরও ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। এমনকী এই নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও হই হট্টগোলও নেই। বরং বেলজিয়ামের সীমান্তবর্তী এরকুইলিনস গ্রামের মেয়র ডেভিড লাভক্স এই নিয়ে মজা করেছেন। ফ্রান্সের প্রশাসনিক স্তরের অনেক কর্তাও ব্যাপারটিকে মজার ছলেই দেখছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে হাসাহাসি চলছে।