সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক বৃদ্ধা ও তাঁর দুই কিশোরী নাতনি ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছেন। তাঁরা একটি ছোট বাতাস চলাচলের ফাঁকা জায়গায় ছিলেন। কিশোরীরা সাহায্যের জন্য একটি ভিডিও রেকর্ড করে, যেখানে দেখা যায় তাঁরা একটি বাটার নাইফ দিয়ে ভাঙা কংক্রিটে আঘাত করে উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। ১৫ ঘণ্টা এই ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকার পর অবশেষে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
advertisement
অন্যদিকে, মান্দালয়ের একটি হোটেল ধসে পড়লে দুই মহিলা পাঁচ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছিলেন। তাঁরা মাটির নীচে ভাঙা ছাদের নিচে বসে ছিলেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই দুই মহিলা বলেন, তাঁরা চরম অন্ধকারে আটকে পড়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের কাছে একটি ফোন ছিল, যার আলো ব্যবহার করে তাঁরা দেখতে পেয়েছিলেন। এক মহিলার বক্তব্য, “যদি ফোনের আলো না থাকত, তবে আমরা মারা যেতাম। আমরা একে অপরের উপর পড়ে থাকা ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করেছি।”
শুকিয়ে যাচ্ছে গাছ? সার দিয়েও লাভ হয় না? লাগবে শুধু একমুঠো ‘ভাত’! মরা গাছেও ফুল আসবে
অন্যজন বলেন, “এই সময়ে আমরা উপলব্ধি করেছি, কিছুই চিরস্থায়ী নয়। মৃত্যুর আগে সুখী থাকা ও ভালো কাজ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ কাজ করলে তার ফল পেতে হবে, কারণ কর্মফল আমাদের পিছু ছাড়ে না।”
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয়, খাদ্য ও জলের প্রয়োজন।
গত ২৮ মার্চ দুপুরবেলা মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা দেশটির গত শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর ফলে প্রাচীন বৌদ্ধ স্তূপ থেকে শুরু করে আধুনিক ভবন পর্যন্ত সব কিছুই ধসে পড়েছে।
মিয়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২,০৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৩,৯০০ জন আহত এবং অন্তত ২৭০ জন এখনও নিখোঁজ।