দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন প্রচন্ড জোরে বিস্ফোরণের শব্দের সঙ্গে সঙ্গেই ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা ‘কায়সং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ এলাকা ৷ তারপরই জানা যায় কিমের ফৌজ লিয়াজোঁ অফিসটি উড়িয়ে দিয়েছে ৷ দুই কোরিয়ার মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য সীমান্তে এই লিয়াজোঁ অফিসটি তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই এমন কিছু করার ইঙ্গিত মিলেছিল কিমের তরফে | ৪৮ ঘণ্টা আগেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের ক্ষমতাশালী বোন কিম ইয়ো জং সোজাসাপটা ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন, শীঘ্রই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সংযোগকারী অপদার্থ যৌথ লিয়াঁজ অফিস সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে ৷
advertisement
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় সঙ্গে সমস্ত কৃটনৈতিক সম্পর্ক ঘুচিয়ে দিয়েছেন কিম জং উন ৷ তারপর থেকেই লাগাতার চলছিল নরমে-গরমে হুমকি ৷ চলতি মাসের শুরু থেকেই সম্পর্তের অবনতি ৷ সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ার শাসক বিরোধী লিফলেট বিলি ও পিয়ংইয়ংয়ের সমালোচনা করে বেলুন বার্তা পাঠানো নিয়ে গোল বাঁধে ৷ কিম জং উনের সরকারের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও এমন কাণ্ডের পুনরাবৃতি হতেই দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায় ৷ সমস্ত ধরনের সম্পর্ক শেষ করে দেওয়া হয় উত্তর কোরিয়ার তরফে ৷
এরপরই বোঝা গিয়েছিল ফের বড় কিছুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কিমের ফৌজ ৷ লিঁয়াজো অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া এর প্রথম পদক্ষেপ ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করলেন একনায়ক কিম জং উন ৷ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যেকার সীমান্ত অর্থাৎ 38th Parallel-এ দুদেশের প্রায় ১০ লক্ষ জওয়ান উপস্থিত রয়েছেন ৷ যা বিশ্বের যে কোনও বর্ডারে উপস্থিত সৈন্য সংখ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৷