এর পিঁছনে রয়েছে এক মানবিক কারণ ! ২০০৭ সালে আফগানিস্থানে আসেন পল। সে সময় আফগানিস্তানের আজকের আফগানিস্তানের থেকে অনেকটাই আলাদা। জীব জন্তুর ওপর বরাবর ভালোবাসা ছিল পলের। আফগানিস্তানে এসে তিনি প্রথম একটি অনাথ অসহায় কুকুরকে খুঁজে পান রাস্তায়। কুকুরটিকে আশ্রয় দেন পল। এবং ভেবে ফেলেন এখানেই একটি পশু চিকিৎসালয় এবং সেল্টার হাউস খুলবেন তিনি। সেই মতো ২০০৭ থেকে চেষ্টা করে একটি ফার্ম হাউসের মতো বানান পল। সেখানে রাস্তার অসহায় কুকুর, বিড়াল থেকে শুরু করে প্রায় সব জন্তুকেই রেখেছেন তিনি। এবং এই পশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য ২৫ জন আফগানিকে কাজে রেখেছেন। এছাড়াও তিন জন আফগান মহিলাকে তিনি পশু চিকিৎসক বানিয়েছেন। যাঁরা পলের পশুদের চিকিৎসা করেন। পলের কাছে এরাই সব কিছু।
advertisement
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পল জানিয়েছেন, " আমি ব্রিটিশ নাগরিক। কিন্তু তবুও আমি যাব না আফগানিস্তান ছেড়ে। আমাকে যদি যেতেই হয়, তবে আমার সব পশুরা এবং কর্মীরা আমার সাথে যাবে। যদি সে ব্যবস্থা করা হয় তবেই আমি যাব। নয়ত আমি তালিবানিদের গুলিতে মরতেও রাজি। কারণ আমি চলে গেলে আমার পোষ্যরা মারা যাবে। ওদেরকে তালিবানরা মেরে ফেলবে। মেয়েদের অবস্থা খারাপ হবে। তালিবানরা যতই বলুক, তারা বদলে গেছে। তার তো কোনও প্রমাণ দেখছি না। রাস্তায় বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানুষ যাতে দেশ ছাড়ার জন্য বিমান বন্দরে পৌঁছতে না পারে তার জন্য কড়া পাহারায় রয়েছে তালিবানরা। কুকুরদের ওরা পশু হিসেবে গন্য করে না। কুকুর ছেড়ে দিন মানুষকেই মানুষ ভাবে না। এই অবস্থায় আমি আমার সব কিছু ছেড়ে পালাতে পারব না। ওদের ছেড়ে গেলে আমি এমনিই মরে যাব। তার থেকে ভালো তালিবানদের গুলির সামনে দাঁড়ানো।" এই সাক্ষাৎকারের পর গোটা বিশ্ব কুর্নিশ জানিয়েছে পলকে। যেখানে মানুষ সন্তানকে ফেলে নিজে পালিয়ে বাঁচতে চাইছে। হারিয়ে যাচ্ছে শিশুরা। সেখানে পল কিছুতেই ছাড়বেন না তাঁর পোষ্যদের। মরতে হলে পোষ্যদের সঙ্গেই মরবেন।