প্রায় প্রতি বছর দেশ ও ধর্মের ভেদ কাটিয়ে এ.আর.সি তে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাহিদুল ইসলাম। মায়ের আরধনা হয় সনাতনী তিথি মেনে। মায়ের অস্ত্রদান, বোধন, নবপত্রিকা স্নান, ভোগ, সন্ধি পুজা, কুমারী পুজা, অপরাজিতা পুজা, বিজয়া সব রীতিনিয়ম মেনে নিষ্ঠা সহকারে করেন সকলে। তবে যেহেতু এ.আর.সি-র পুজো ব্রিকফিল্ড এর বিবেকানন্দ আশ্রমে হয় ৷
advertisement
এখানে ভোগ নিরামিষ উপাচার এই দেওয়া হয়। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে ৷ যার রিহার্সাল প্রায় মাস ছয়েক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। যার মধ্যে বাচ্চাদের ও বড়দের নাটক, ফ্যাশন ওয়াক, পালাগান এবং ক্লাসিকাল ও ফিউশন গ্রুপডান্স ভীষনভাবে মন কাড়ে সবার। পাশাপাশি সোভেনিয়র হিসাবে দেওয়া হয় পূজা ম্যাগাজিন ৷ যেখানে নাতি থেকে দাদু, শাশুড়ী থেকে বৌমা সবাই যে যার পছন্দ মতো কলম ধরেন বা তুলির টানে সাজিয়ে দেন পাতার পর পাতা..।
আর মহাষষ্ঠীর স্পেশ্যাল আকর্ষণ থাকে আনন্দমেলা, যেখানে আপনি পেয়ে যেতে পারেন বাড়িতে বানানো মোচার চপ, মালপোয়া থেকে কলকাতার জিভে জল আনা ফুচকা, চুরমুর সাথে হাতে বানানো গহনাসামগ্রী।
তাই যদি পূজোয় বেড়াতে আসেন মালেশিয়া, ঢাকে কাঠির আর ধুনোচি নাচের মজা নিতে এখানে আসতে ভুলবেন না।
লেখা ও ছবি: স্মিতা চট্টোপাধ্যায়