কী ? কী ? সবাই বলে উঠল কোথায় হবে ? শিগগিরই, সেন্ট ভলোদিমির সেন্টার বুক করতে, না বলবে না তো ? যাওয়া হল, মেম সাহেব একগাল হেসে বললেন, হ্যাঁ লং উইকেন্ডে খালি আছে ৷ বুক করা হল ৷ জুলাই ২০২২ স্কুলে গরমের ছুটি পড়েছে। খোলা হল আমাদের মা দুর্গার মূর্তি ৷ বিখ্যাত শিল্পী শুভমিতা দিন্দার তৈরি একমেবাদ্বিতীয়ম নর্থ আমেরিকার দুর্গা প্রতিমা। এই মূর্তির আদলে পরবর্তী কালে অনেক মা দুর্গার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এইবার শুরু হল স্পনসরদের সাথে কথা বলা। সবাই রেডি। খাওয়া দাওয়া ছাড়া কি পুজো হয়? তাহলে চলো ভোগ ও প্রসাদের মেনু তৈরি করা যাক ৷ খিচুড়ি, পাঁপড়, চাটনি, মিষ্টি। ঠাকুরের প্রসাদ পোলাও, ফুলকপির তরকারি, ৫ ভাজা, চাটনি, পায়েস সব কিছু তো হল, কিন্তু গান বাজনা চাইই চাই। যোগাযোগ করা হল কলকাতায়। তারা বললেন যেতে তো সবাই চায় কিন্তু ভিসা?
advertisement
ভিসা অত্যন্ত ঝক্কির। কে দেবে? ভিসা আছে এমন কেউ আছেন? পাওয়া গেছে পাওয়া গেছে! ভিসা আছে এমন একজন পাওয়া গেছে। আন তাহলে। তিনি আবার আসতে পারবেন না। তার আরেক জায়গায় প্রোগ্রাম আছে। তবে? আবার খোজা শুরু হল। সব কর্মকর্তাদের মাথায় হাত! কী করা যায়? এমন সময় খোঁজ এল একজন গায়িকার যিনি শুধু অপূর্ব গায়িকা নন, একজন নামকরা পারফর্মারও বটে। তিনি রাজি হওয়াতে সবাই খুশি।
উৎসাহী বড়রা আর বাচ্চারা শুরু করে দিল তাদের রিহার্সাল। কালচারাল প্রোগ্রাম বলে কথা। আর হাজার হাজার লোকের সামনে পারফর্ম করা কি চাট্টি খানি কথা ? সন্ধি পুজোর ১০৮ পদ্মফুলের বরাত ও দেওয়া হল ৷ গাঁদা ফুলের অর্ডার গেল দোকানে ৷ মালা বানাতে হবে না? সবার মনে বড় আনন্দ। এত আনন্দ আর কিছুতেই নেই। পুজো বোধহয় এইবার জমে গেল সুদূর কানাডায়৷