ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিশ্বের দ্বিতীয় বয়স্কতম রাষ্ট্রনেতা। তিনি তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের থেকে মুকুট পেয়েছিলেন। মুকুটের সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের যাবতীয় সম্পত্তির অধিকারীও হন তিনি। সঙ্গে পান রাজপরিবারের অনেকগুলি প্রাসাদ।
২১ এপ্রিল ১৯২৬ সালে জন্মেছিলেন তিনি। সেই হিসেবে এই দিনটিতে পালিত হয় তাঁর আসল জন্মদিন। হাইড পার্কে ৪১ গান স্যালুট, উইন্ডসোর গ্রেট পার্কে ২১ গান স্যালুট, লন্ডন টাওয়ারে ৬২ গান স্যালুটের মাধ্যমে পালিত হয় তাঁর জন্মদিন। বিরাট আয়োজন করা হয় রাজপরিবারের তরফে। তবে গত বছর করোনা আবহে খুব সামান্য আয়োজনের মধ্যেই পালিত হয়েছিল রানির ৯৪ তম জন্মদিন।
advertisement
আর এই আসল জন্মদিন ছাড়াও তাঁর আরও একটি জন্মদিন রয়েছে। যা পালিত হয় প্রতি বছর জুন মাসে। সারা দেশ ওই দিন ট্র্যাডিশনাল সেরিমনিতে মেতে ওঠে। কালার্স প্যারেড বের হয় রানির সরকারি প্যালেস বাকিংহাম থেকে। যে প্যারেডটি এদিন বের হয়, তাতে ১৪০০ জন সেনা কর্মী, ২০০ টি ঘোড়া, ৪০০ জন মিউজিশিয়ান থাকেন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে মল হয়ে, হর্স গার্ড হয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে গিয়ে শেষ হয় এই প্যারেড। একই পথ ধরে ফের বাকিংহাম প্যালেসে ফিরে আসে। এসবের পাশাপাশি প্যারেডে RAF-এর প্লেনও থাকে।
নিয়ম অনুযায়ী, রয়্যাল মনার্কদের অফিসিয়াল জন্মদিন পালন করা বাধ্যতামূলক। এবং এই অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে ২৬০ বছর ধরে। আসলে ওই দিনটিতে ব্রিটিশ মনার্কদের জন্মদিন পালিত হওয়ার রীতি রয়েছে। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই সংস্কৃতি ব্রিটেনে শুরু হয়েছিল কিং জর্জ ২-এর জন্মদিনের সময় থেকে। যেহেতু গরমকালে আবহাওয়া ভালো থাকে, তাই জুন মাসে এই সরকারি জন্মদিন পালন করা হয়।
তবে এই বছর একটু ব্যতিক্রম ঘটেছে। ডিউক অফ এডিনবার্গ অর্থাৎ প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু হওয়ায় কোনও গান স্যালুট বা অন্য কিছু আয়োজন করা হয়নি। জানা গিয়েছে, শুধুই পারিবারিক সামান্য কিছু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবছর ৯৫ তম জন্মদিন পালন করেছেন তিনি।