বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. শামীম আহসান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের প্রতিটি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির আকার প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। এর অগ্রভাগ রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকেই খুলনা উপকূলের কাছে সুন্দরবনের দিকে প্রবেশ করে। এর প্রভাবে উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: বিরাট ঘটনা! রিমলের ল্যান্ডফল হবে যেখানে, সেই মংলাতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ অনেক
advertisement
শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রিমলে পরিণত হয়। রবিবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সকালেই পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলোও ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় ছিল।
ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে সৃষ্ট উঁচু জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ বনভূমি। এতে বাঘ, হরিণসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর প্রাণহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জোয়ারের সাগরের নোনাজলে বনভূমির সঙ্গে তলিয়ে গেছে শতাধিক পুকুর।