ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ জন হতে পারেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাৎক্ষণিক অনেক যাত্রী সাঁতরে পারে উঠতে সক্ষম হন। তারা সবাই মংলার বিভিন্ন কলকারখানায় চাকরি করেন। তবে নদীর পাড়ে ডুবে যাওয়ায় কিছু যাত্রী উঠে গেলেও অনেকের নিঁখোজের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে স্থানীয় ডুবুরি দল, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মোট ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু, শুধু কলকাতাতেই ৩ হাজার! রিমল আসছে, জানুন বাংলার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঝড়ের কথা
তবে কত জন নিখোঁজ রয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানাতে পারছে না প্রশাসন। নিখোঁজদের সন্ধানে সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ল্যান্ডফলের পরেই গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে রিমল। সমুদ্রে উত্তরমুখী আসার পর স্থলভাগে এসে সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে। বাংলাদেশের ওপর দিয়েই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবেশ করতে পারে রিমল ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্ট অংশ নিম্নচাপ রূপে। বাংলাদেশের মংলা বন্দর, খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরাতে ক্ষতির আশঙ্কা সবথেকে বেশি। এরপর ক্রমশ উত্তর দিকে ফরিদপুর, যশোর, ময়মনসিং, বগুড়া হয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপ রূপে পূর্ব ভারতের দিকে প্রবেশ করবে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমলের ল্যান্ডফলের আগেই ভয়ঙ্কর ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটল সেই মংলাতেই।