ফুল ফুটেছে সময়মতই। ছোঁয়ার কেউ নেই। পাখির কথা শুনছে সবাই। সাড়া দেয়নি কেউ।
রাস্তাগুলোও আগের মতই। কিন্তু হাঁটার তেমন কেউ নেই। যাঁরা বেরিয়েছেন, খানিক পরেই ঢুকে পড়বেন। ভরসার বাড়িতে, এখন সবসময় বাড়িবন্দি জীবন। হ্যাপেনিং িনউইয়র্ক চুপ। স্বপ্ননগরী যেন প্রেতনগরী। শুধু অ্যাম্বুল্যান্স ছুটছে। কান বন্ধ করলেও সাইরেন। ঘুমোলেও উদ্বেগ।
স্ট্রিট কানির্ভাল নেই, হাসিখুশি জীবনে হঠাৎ অন্ধকার। করোনায় স্তব্ধ নিউইয়র্ক। নিউইয়র্ক এখন করোনায় বিশ্বের ভরকেন্দ্র। শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১০৮ জনের।
advertisement
আত্মীয়-পরিজনেরা কোথায়? হয়তো তাঁরাও চিরঘুমে। তাই কবর দেওয়ার কেউ নেই। প্রিয়জনেদের সঙ্গে সবাই পাশাপাশি শুয়ে। কফিনবন্দি হয়ে। নিউইয়র্কের হার্ট আইল্যান্ডে দেড়শ বছর ধরে গণকবর েদওয়া হয়। করোনায় মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার পর এই জায়গায় নিথর দেহের ভিড়। কবর খোঁড়ার কাজ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে কবর খোঁড়া হত সপ্তাহে একদিন, এখন সপ্তাহে পাঁচদিন সেই কাজ চলছে।
লন্ডন-সহ অন্য সব শহরেরই দোকানপাট বন্ধ। ফাঁকা এয়ারপোর্ট। ফাঁকা ট্রেন। শুধু হাসপাতালে ভিড়। দিনরাত করোনার পরীক্ষা চলছে। পজিটিভ হলেই লড়াই। গোটা বিশ্বের মতই করোনার সঙ্গে লড়ছে আমেরিকা। করোনা ধীরে ধীরে নিউইয়র্কের স্বপ্ন কেড়েছে। ছন্দ কেড়েছে। ২০০১-এ এই নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হতে দেখেছে। দেখেছে শত শত জীবন শেষ হয়ে যেতে। করোনা সেই সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল। ড্রিম সিটির মনে দিনরাত ভয়-উদ্বেগ।