সরকারি তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৮১জন হুবেই প্রদেশ এবং হুবেইয়ের রাজধানী ইউহানের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে দুজন হেলংজিয়াং এবং একজন করে বেজিং, হেনান এবং গানসুর বাসিন্দা। এদিকে, এদিনই আরও ৩,৩৯৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪,৫৪৬ জনেরও বেশি।
advertisement
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০জন ম্যাকাও এবং তাইওয়ানের ১৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অর্থাৎ ৪,২১৪ সংক্রামিত রোগীর নাম নথিভুক্ত হয় শুক্রবার। তাদের মধ্যে ১,২৮০ জনের শারিরীক অবস্থা সংকটজনক। ৫১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ করে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
শুধুমাত্র চিনেই নয়, সংক্রমণ ছড়িয়েছে চিনের পাশাপাশি আরও ২৭টি দেশে। কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ্য, ৬,১০১ জন রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় এবং ২৭,৬৫৭ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসার পর ২,০৫০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জাপান থেকে তিনজন ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা একটি ক্রুজে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে থেকেই জাহাজে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪। এর একদিন আগে, জাপানে ওই ক্রুজটি থেকে ৪১ জন আক্রান্তকে উদ্ধার করা হয়েছিল। শুক্রবার ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মেলার আগে ক্রুজ থেকে ৪১জনকে ডায়মন্ড প্রিন্সেস বন্দরে নামানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০২-২০০৩ সালে সার্সে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন। করোনার আক্রমণে মৃতের সংখ্যা রবিবার সকালের মধ্যেই সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল।