চিনা ওই ধনকুবেরের নাম ঝ্যাং ইউডং৷ তাঁর সংস্থা বছরে ভারতীয় মুদ্রায় বছরে প্রায় ৬৯৩ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করে৷ ওই শিল্পপতির ছেলে ঝ্যাং জিলং একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্নাতক হওয়া পর্যন্ত বাবার বিপুল সম্পদের কথা তিনি জানতেই পারেননি৷ বাবার বিপুল আর্থিক প্রতিপত্তির কথা জেনে ছেলের মাথা যাতে ঘুরে না যায় এবং সে যাতে নিজের চেষ্টায় জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে, সেই কারণেই এই পথ অবলম্বন করেছিলেন ওই চিনা শিল্পপতি৷
advertisement
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানঘাঁটিতে বড়সড় হামলা! রাতভর তুমুল গুলির লড়াই, নিহত অন্তত ৫
ওই তরুণ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর বাবার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্র্যান্ডটি যে জনপ্রিয়, তা তিনি জানতেন৷ কিন্তু তাঁকে বলা হয়েছিল, ব্যবসা চালাতে তাঁর বাবাকে বিপুল দেনা করতে হয়েছে৷ জিলং জানিয়েছেন, ছোট থেকেই পিংজিয়াং কাউন্টিতে একটি সাধারণ ফ্ল্যাটে থেকে বড় হয়েছেন তিনি৷ পরিবারের কোনও প্রভাব ছাড়াই একটি ভাল স্কুলে পড়াশোনার সুযোগও পান নিজের চেষ্টায়৷
স্নাতক হওয়ার পর ওই তরুণ একটি ভাল চাকরির চেষ্টা করতে শুরু করেন ওই তরুণ৷ যাতে তিনি দেনা শোধ করে বাবার ঋণের বোঝা কিছুটা কমাতে পারেন৷ তখনই তাঁকে তাঁর বাবা জানান যে তাঁরা আসলে বিপুল সম্পদের মালিক৷
এর পরেই একটি বিলাসবহুল নতুন ভিলায় উঠে যায় ওই পরিবার৷ ওই তরুণও তাঁর বাবার সংস্থাতেই যোগ দিয়েছেন৷ সংস্থার ই কমার্স বিভাগের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি৷ তাঁর লক্ষ্য সংস্থার পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যাওয়া৷ যদিও তাঁর বাবা জানিয়েছেন, ছেলে সংস্থা কীভাবে চালাচ্ছেন তার উপরেই নির্ভর করবে ভবিষ্যতে সংস্থার মালিকানা তাঁর হাতে দেওয়া হবে কি না৷