প্রেমপর্বের সূত্রপাত তিন দশক আগে, ১৯৯২ সালে৷ ২৯ বছর বয়সি সূত্রধর বা কাঠের মিস্ত্রি শু ঝিলির সঙ্গে আলাপ হয় ২১ বছরের পরিযায়ী শ্রমিক হুয়াং কুইয়ুনের সঙ্গে৷ তাঁরা একে অন্যের প্রেমে পড়ে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন৷ কিন্তু ভাগ্য তাঁদের জন্য অন্য বিধিলিপি ভেবে রেখেছিল হয়তো৷ প্রেমিক যুগল হিসেবে একসঙ্গে যাচ্ছিলেন বাসে৷ গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে তাঁদের বাস৷ শুয়ের আঘাত সামান্য হলেও হুয়াংয়ের শিরদাঁড়ায় গুরুতর আঘাত লাগে৷ ধীরে ধীরে তিনি পঙ্গু এবং শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন৷
advertisement
হুয়াং যখন হাসপাতালে তখনই শুয়ের বন্ধুরা তাঁকে পরামর্শ দেন সঙ্গিনীকে ছেড়ে অন্য কাউকে খুঁজে নেওয়ার জন্য৷ কারণ চলৎশক্তিহীন সঙ্গিনীকে বহন করে নিয়ে যাওয়া কঠিন কাজ৷ কিন্তু বন্ধুদের কথায় কান দেননি শু৷ তিনি ঠিক করেন, জীবন উৎসর্গ করবেন সঙ্গিনীর সেবাতেই৷ সেই যে হাসপাতাল থেকে কোলে করে স্থবির প্রেমিকাকে এনেছিলেন বাড়িতে, তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর সেবা শুশ্রূষাই জীবনের ধ্যান জ্ঞান৷ গ্রামের বাইরে কোনওদিন যাননি শু৷ সংসার চলে চাষবাস করে৷ দিনভর হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর তিনি চিনা বাদ্যযন্ত্র এরহু বাজান৷ যাতে প্রেমিকার মন ভাল থাকে৷ তাঁদের প্রেমকাহিনি এখন নেটিজেনদের আলোচনার উপজীব্য৷
খাতায় কলমে শু এবং হুয়াঙের বিয়ে হয়নি৷ কিন্তু দীর্ঘ দিন একসঙ্গে থাকার পর এখন তাঁরা বিয়ের শংসাপত্র চান৷ তবে বিয়ের শিলমোহর পড়ুক, বা না পড়ুক, তাঁদের চিরসবুজ প্রেমে ভাটা পড়েনি৷