সম্প্রতি JAMA Network Open-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, ১০ বছরের নিচের বাচ্চাদের শরীরে অ্যান্টিবডি বাকিদের থেকে অনেকটা বেশি মাত্রায় তৈরি হচ্ছে, যার ফলে ১০ বছরের নিচের বাচ্চাদের করোনা সংক্রমণ কম হচ্ছে। সংক্রমণ হলেও তা সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারছে না।
Weill Cornell Medicine-এর গবেষকরা নিউ ইয়র্কে ৩২ হাজার অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেছেন গত বছরের এপ্রিল থেকে অগস্ট পর্যন্ত। যাতে তাঁরা ১২০০ বাচ্চা ও ৩০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ইনফেকশন দেখেছেন ১৭ শতাংশ ও ১৯ শতাংশ হারে।
advertisement
এর পর যে ৮৫ জন বাচ্চা ও ৩,৬৪৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের উপরে পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের শরীরে ইমিউনোগ্লোবিন জি (IgG) অ্যান্টিবডির পরিমাণ দেখা হয়। এই অ্যান্টিবডিই শরীরে করোনার প্রভাব কমায়।
সমীক্ষায় দেখা যায়, ১০ বছরের কম বয়সী ৩২ জনের মধ্যে এই IgG পরিমাণ প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে পাঁচগুণ বেশি রয়েছে। বিশেষ করে ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে যাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁদের থেকে তো বেশি আছেই।
তবে, এটাও ঠিক ২৪ বছরের মধ্যে যে ১২৬ জনের করোনা পজিটিভ নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, তাঁদের শরীরেও সে ভাবে করোনা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
তাই গবেষকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, বয়ঃসন্ধিতে থাকা বাচ্চাদের থেকে ১০ বছরের নিচে থাকা বাচ্চাদের শরীরে অ্যান্টিবডি অনেক বেশি তৈরি হচ্ছে। ফলে এই বয়সের বাচ্চাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমছে।
এই বিষয়ে সমীক্ষার লেখক বলেন, চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে শুরু করে ডোজ, করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের পার্থক্য করছে এই ইমিউন রেসপন্স।