শুধু তাই নয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখানো পথেই বাংলাদেশি সহ অন্য দেশের অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর দাবিতেও সরব হয়েছেন ব্রিটিশ সাংসদ লো৷ বাংলাদেশিরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটাচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলেই হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন থেকে বাংলা ভাষা সরানোর দাবি তুলেছেন লো৷
রবিবার ব্রিটিশ সাংসদ রুপার্ট লো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এটা লন্ডন৷ এখানে স্টেশনের নাম এক এবং একমাত্র ইংরেজিতেই লেখা উচিত৷’ লো-র এই পোস্টের পরই বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে তুমুল শোরগোল শুরু হয়৷ বহু ব্রিটিশ নাগরিক সাংসদের এই দাবিতে সমর্থন জানান৷ টেসলার সিইও ইলন মাস্কও ব্রিটিশ সাংসদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন ওই পোস্টে রিপ্লাই করেছেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: বনকর্মীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল, কামড়ে ধরল মাথা! মৈপীঠে বাঘে-মানুষে তুমুল লড়াই
হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশন নিয়ে এই পোস্ট করার পরই মূলত ব্রিটেনে বাংলাদেশি সহ অন্যান্য অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জানান লো৷ একের পর এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন ব্রিটিশ করদাতাদের টাকায় অন্যান্য দেশের অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়, অনুদানের খরচ মেটানো হবে? ট্রাম্পের দেখানো পথেই অনুপ্রবেশকারীদের বিমানে তুলে পত্রপাঠ ফেরত পাঠানোরও দাবি তিনি৷
যেহেতু ব্রিটেনের মধ্যে হোয়াইট চ্যাপেল এলাকাতেই সবথেকে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন, তাই তাঁদের সম্মানেই ওই স্টেশনের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও লেখা হয়৷
এক্স হ্যান্ডেলে ব্রিটিশ সাংসদ লিখেছেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত গণ অনুপ্রবেশের কারণে ব্রিটেনের মহিলা এবং মেয়েদের কতটা ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, আমি সেই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা চাই৷ আমরা এমন কিছু সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা পুরুষদের স্বাগত জানাচ্ছি, যেখানে মহিলাদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাই নেই৷’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের কেন আমরা যত্ন করে হোটেলে রাখব, শরণার্থী তকমা দিয়ে ব্রিটিশ করদাতার টাকায় জীবন চালানোর জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করে দেব? তার থেকে এদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া ভাল৷ এটাই একমাত্র উপায়৷ তাহলেই শরণার্থী বোঝাই নৌকা ব্রিটেনে আসা বন্ধ হয়ে যাবে৷’