অ্যানআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁরা ২০ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (এপিএফ)-এর উপ-অধিনায়ক শৈলেন্দ্র থাপা জানান, “গত ৯ নভেম্বর এপিএফের উপ-অধিনায়ক হিরা বাহাদুর জি.সি.-র নেতৃত্বাধীন উদ্ধারকারী দল মানাং জেলার এক মনাস্ট্রির প্রায় ১০০ মিটার উপরে বরফের নিচে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে।”
‘তোমার দুষ্টু ছেলের তরফে…’ ১০ বছরের ছেলে পকেটমানি জমিয়ে মাকে জন্মদিনে এমনই এক উপহার দিল !
advertisement
২০ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ পিতা-কন্যা
জানা গেছে, জিগনেশ প্যাটেল ও তাঁর মেয়ে প্রিয়াঞ্জা মানাং জেলার নিংসিয়াং গ্রামীণ পৌরসভা–৪ এর গিয়ালজেন হোটেলে ছিলেন। ২০ অক্টোবর তাঁরা কাছাকাছি মালেরিপা মনাস্ট্রি (ওয়ার্ড নম্বর ৫) দর্শনে গিয়েছিলেন এবং সেই দিন থেকেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
হোটেল ম্যানেজার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ না পেয়ে এপিএফ-এর মাউন্টেন রেসকিউ ট্রেনিং সেন্টারকে খবর দেন। এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ডিএসপি থাপা জানিয়েছেন, “দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া আগামীকাল সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত নেপাল, বিচ্ছিন্ন বহু পর্যটনকেন্দ্র
অক্টোবর মাসে নেপালে ভয়াবহ তুষারঝড় আঘাত হানে, যার ফলে সমগ্র হিমালয় অঞ্চলে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। শুধু মানাং জেলা থেকেই প্রায় ১,৫০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে স্থানীয় নিরাপত্তা দল।
প্যাটেল ও তাঁর মেয়ে ‘মনথা’ আবহাওয়া ব্যবস্থার আগেই নিখোঁজ হন, তবে তারও আগে অন্য এক তীব্র পশ্চিমী ঝড় উচ্চ পার্বত্য এলাকায় ভারী তুষারপাত ঘটায়। তীব্র আবহাওয়ার কারণে নেপালের একাধিক ট্রেকিং রুট বন্ধ রাখতে হয় এক সপ্তাহেরও বেশি সময়। বহু জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রও বরফের দেয়ালে আটকে যায়, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাইরের জগত থেকে।
