ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল পাকিস্তানের কোয়েট্টা (Quetta) থেকে ১০২ কিমি উত্তর-পূর্বে বলে জানা গিয়েছে। ভোর রাতে সকলে যখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন, সেইসময়েই ভূমিকম্পের ঘটনা ৷ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদ এবং দেওয়াল ৷ উদ্ধারকাজে স্থানীয়রাই প্রথমে হাত লাগান ৷ একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে এবং বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলেই জানা গিয়েছে ৷ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ প্রদেশ মন্ত্রী মির জিয়া উল্লাহ লাঙ্গাউ জানান, ‘‘ আমরা খবর পেয়েছি ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ উদ্ধারকার্য চলছে ৷’’
advertisement
কোয়েটার সংলগ্ন এলাকায় হওয়া এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অনেকটাই বেশি হওয়ায় আফটার শকও অনুভূত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টা আফটার শকের প্রভাব থাকতে পারে ৷
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বালোচিস্তান প্রদেশের পাহাড়ে ঘেরা শহর হারনাই (Harnai) ৷ সেখানকার বিদ্যুৎ এবং মোবাইল ফোন পরিষেবাও বিপর্যস্ত ৷
আরও পড়ুন- আজও বৃষ্টির আশঙ্কা, আবহাওয়ার উন্নতি কবে থেকে ? পুজোতে কী পূর্বাভাস, জেনে নিন
আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৭ ৷ কম্পন অনুভূত হয় বালোচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটাতেও ৷
পাকা রাস্তা, বিদ্যুত ও মোবাইল কভারেজের ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকাজে আরও সমস্যা হয় বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ভোরবেলা পর্যন্ত কোনও আলো ছাড়াই কাজ করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।