সংস্কৃতিতে এহেন হামলায় গর্জে উঠেছেন এপার বাংলা, ওপার বাংলার অসংখ্য শিল্পী! রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অদিতি মহসিনের অবিচল কণ্ঠ…”মোরা সত্যের পরে মন আজি করিব সমর্পণ, জয় জয় সত্যের জয়”! ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা আছড়ে ভাঙছে হারমোনিয়াম, পড়ে রয়েছে ভাঙা তবলা-বায়া, অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র! ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সনজীদা খাতুনের ছবি ছিঁড়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ছেঁড়া হয়েছে লালনের ছবিও। ভাঙচুর চালানো হয়েছে একাধিক সংবাদপত্রের দফতরে।
advertisement
ওপার-বাংলার এহেন ধ্বংসযজ্ঞে সরব এপার-বাংলার বিশিষ্টরা! অভিনেতা চন্দন সেন বলেন, ”সংস্কৃতি জগৎ মানুষকে শেখায় কোনটা ঠিক কোনটা ভুল… আর সেই কারণেই এই জগতের উপর সবার আগে আক্রমণ হানা হয়। যখন বাংলাদেশে ব্লগার অভিজিৎ-কে খুন করা হয়েছিল, তখনই যদি শেখ হাসিনা কড়া ভূমিকা নিতেন, তবে এদিন দেখতে হত না!”
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ”বাংলাদেশের ঘটনা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। আমার অনেক আত্মীয়, বন্ধু, পরিজন ওখানে রয়েছেন। তাঁদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। ইউনুস প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, একটা অরাজক পরিস্থিতি চলছে! এই পরিস্থিতি মানা যায় না। অবিলম্বে প্রত্যেকের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। অবিলম্বে যেন শান্তি নেমে আসে।”
সঙ্গীতশিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, ”খুবই বেদনাদায়ক পরিস্থিতি বাংলাদেশে! বুকে বাঁধছে। বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলা হচ্ছে… পরিস্থিতি ঠিক কী হবে, কোনদিকে এগোবে, এটা বলার জন্য আমি যোগ্য লোক নই। খারাপলাগাটুকু ভীষণভাবে রয়েছে। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব রয়েছেন বাংলাদেশে। তাঁদের খোঁজ নিয়েছি, কথা হয়েছে, তাঁদের জন্য সবসময় দুশ্চিন্তা রয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কলকাতার খুব বড় একটা যোগাযোগ আছে, অন্তত সাংস্কৃতিক দিক থেকে তো বটেই, ফলে সেখানে যদি বাদ্যযন্ত্র ভাঙা হয়, তার আওয়াজ কিন্তু আমার কলকাতাতে এসেও পৌঁছায়।”
