আরও পড়ুন: ভারতকে কোনঠাসা করার চেষ্টা, রং বদলে শেষমেশ পাকিস্তানের হাত ধরল বাংলাদেশ!
শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নেওয়ার পর ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সামরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। ২০২২ সালে শেখ হাসিনা পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ পিএনএস তৈমুরকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে দেননি। কিন্তু এখন, পাকিস্তানের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে যৌথ নৌ-মহড়ার প্রস্তুতি চলছে।
advertisement
বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে করাচিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা বহুজাতিক নৌ-মহড়া ‘আমন ২০২৫’-এ অংশ নিতে চলেছে। সামরিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অশোক কুমার (অবসরপ্রাপ্ত) জানিয়েছেন, “বর্তমান সরকারের অধীনে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। পাকিস্তান তাদের সামরিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে, যা ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।”
আরও পড়ুন: ৭১-এর যুদ্ধে ভারত না কি শুধুমাত্র সহযোগী ছিল, এবার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা বাংলাদেশের!
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানের ছায়ায় চলে যাচ্ছে। পাকিস্তানি জামাত প্রথমে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করে, তারপর ভারত-বিরোধী মনোভাব উসকে দেয়। এখন পাকিস্তান ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
ইসলামাবাদ-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট আবার চালু হয়েছে এবং ভিসার শর্ত সহজ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউনুসের সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, “আগে আইএসআই গোপনে বাংলাদেশে তাদের কার্যকলাপ চালাত। এখন তারা প্রকাশ্যে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করবে।”
বাংলাদেশে রেজিম পরিবর্তনে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হাত রয়েছে, যা প্রমাণিত। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তারা অনেকটাই সফল হয়েছে। এখন পাক সেনা এবং আইএসআই সরাসরি বাংলাদেশে কাজ করবে। এর অর্থ, ভারতের পাশেই আরও একটি ‘পাকিস্তান’ গড়ে ওঠা শুরু হয়েছে।