বাংলাদেশের ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি লেগে মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ৷ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক সরকারি ভবন এবং প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো সংবাদ মাধ্যমের অফিস৷ আগুন লাগানো হয়েছে বিএনপি নেতা থেকে শুরু করে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে৷
আরও পডুন: বাংলাদেশে ফের নেতাকে গুলি! একেবারে কান ঘেঁষে…এবার তাঁর সঙ্গী নারীকে খুঁজছে পুলিশ
advertisement
এসব কিছুর প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডই প্রমাণ করে যে বিশৃঙ্খলা আমার সরকার ফেলেছে, ইউনূসের আমলে তা কয়েকগুণ বেড়েছে৷ হিংসাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তা অন্তর্বর্তী সরকার যতই না স্বীকার করুক বা থামতে অসফল থাকুক৷’’
হাসিনা জানিয়েছেন, কট্টরপন্থী ছাত্রনেতার মৃত্যু এবং সেই ঘটনা পরবর্তী হিংসা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাড়থে থাকা বিশৃঙ্খলার নিদর্শন৷ এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশকে ভিতর থেকে নড়বড়ে করে দেবে বলে তাঁর আশঙ্কা৷ শুধু তাই নয়, ভারতের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্কও নষ্ট করে দেবে৷
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায় বাংলাদেশীদের একাংশের ভারত-বিরোধী আন্দোলন এবং ২৭ বছরের সংখ্যালঘু দীপু চন্দ্র দাসের ঘটনার কথা উঠে এসেছে৷ তাঁর মতে এই সমস্ত ঘটনা বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে খারাপ করছে৷ নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার্থে বাংলাদেশের নতুন সরকার ব্যর্থ এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেন তিনি৷
