গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডে সবথেকে বড় বিপর্যয় এই নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা৷ আর এই বিপর্যয়ের পর এবার আতসকাঁচের তলায় একটি চিনা সংস্থার ভূমিকা৷ কারণ ভেঙে পড়া ওই বহুতলটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল একটি চিনা সংস্থাই৷ ব্যাঙ্কক শহর জুড়ে এরকম আরও অনেক বহুতল রয়েছে বা তৈরি হচ্ছে৷ সেগুলির কোনওটিই ভূমিকম্পের ধাক্কা এ ভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েনি৷ নির্মীয়মাণ ওই বহুতলটি কেন ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখছে থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷
advertisement
সংবাদসংস্থা এএফপি-র খবর অনুযায়ী, ওই বহুতলটিতে থাইল্যান্ডের স্টেট অডিট অফিস হওয়ার কথা ছিল৷ গত তিন বছর ধরে বহুতলটির কাজ চলছিল৷ প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ২ মিলিয়ন ভাট৷
বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন৷ কী কারণে ওই বহুতলটি ভেঙে পড়ল, তার কারণ নির্ণয় করার জন্য সাতদিন সময় দিয়েছেন তিনি৷
জানা গিয়েছে, ওই বহুতলটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল দুটি সংস্থা৷ তার মধ্যে একটি সংস্থার নাম চায়না রেলওয়ে নম্বর টেন (থাইল্যান্ড)৷ চিনা সংস্থা চায়না রেলওয়ে নম্বর টেন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের ৪৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে এই সংস্থায়৷ থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, কোনও বিদেশি সংস্থা সেদেশে কোনও সংস্থায় ৪৯ শতাংশের বেশি মালিকানা হাতে রাখতে পারে না৷