একমাত্র সন্তানের দেহ খুঁজতে ধ্বংসস্তূপ হাতছাড়চ্ছে এক দম্পতি। এক ব্যক্তি খুঁজছেন তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের দেহ। বিস্ফোরণের দু'দিন পর এমনই ছবি বাগদাদের কারাদায়। শনিবার রাতে ইরাকের রাজধানীর ব্যস্ত এই বাজার এলাকাকেই টার্গেট করেছিল ইসলামিক স্টেট।
ইদের কেনাকাটার সময় বিস্ফোরক বোঝাই একটি ট্রাক উড়িয়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। ২০০৭-এর পর থেকে যা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি নাশকতা বলে দাবি সেদেশের প্রশাসনের।
advertisement
হামলার দু'দিন পরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দু'শোর বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও অনেকগুলি দেহ রয়েছে বলে আশঙ্কা। আগুনে ঝলসে গিয়েছে বেশিরভাগ দেহই। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তাদের সনাক্ত করা সম্ভব নয়।
বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েছিল ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির কনভয়। এবার রাজধানী শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন আম ইরাকিরা। সেই জনরোষের আঁচ পেয়েই শহরজুড়ে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার আশ্বাস দিয়েছে সেদেশের ইন্টিরিয়র মিনিস্ট্রি।
তবে কিছুদিন আগেই আইএসের হাত থেকে ফালুজা পুনর্দখল করেছে ইরাকি সেনা। তা সত্ত্বেও কেন রোখা যাচ্ছে না আইএসকে? কেন বারে বারে জঙ্গিদের হাতে রক্তাক্ত হচ্ছে বাগদাদ? আত্মীয়-পরিজনদের দেহের পাশাপাশি এই প্রশ্নগুলিরও উত্তর খুঁজছেন বহু ইরাকি।