যুদ্ধবিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও চিন তাইওয়ান আক্রমণ করার সাহস দেখায় কিনা সেটাই দেখার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চিন তাইওয়ান আক্রমণ করলে, তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা চিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়াবে। তাইওয়ানের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষার জন্য ক্রমাগত সমর্থন দেওয়াকে ভালোভাবে নিচ্ছে না চিন।
advertisement
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে যে, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়। তাছাড়া তাইওয়ানের ওপর চিনের চলমান মারাত্মক প্রভাব মোকাবিলায়ও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন তাইওয়ানে আমেরিকান ইনস্টিটিউটের নতুন পরিচালক স্যান্ড্রা ওডকির্ক। তিনি জানান, ওয়াশিংটন তাইওয়ানের প্রতি গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সাইবার নিরাপত্তা ও সরবরাহ চেইনের মতো সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তাইওয়ানে প্রতিনিয়ত সামরিক চাপ বজায় রেখেছে বেজিং। এমনকি কিছুদিন পর পরই তাইওয়ানের আকাশে চিনের সামরিক বিমানের মহড়া করতে দেখা গেছে। সম্প্রতি ১৫০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বেজিং এবং তাইওয়ানের মধ্যকার অস্থিরতার মধ্যেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রথম একটি সরকারি প্রতিনিধি দল তাইওয়ানে সফর করেছে।
এই সময় ওই কর্মকর্তারা তাইওয়ানকে এ বিষয়টি আশ্বস্ত করেছে যে, তারা মোটেও একা নয়। তাইপেই বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইইউ-তাইওয়ান সম্পর্ক জোরদার করার জন্য সাহসী পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।