সম্প্রতি রণদীপের একটি পুরোনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। এই ভিডিয়োতে ২০১২ সালের একটি অনুষ্ঠানে মায়াবতীকে নিয়ে ‘কুরুচিকর’ ঠাট্টা করেন অভিনেতা। মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। রণদীপের মন্তব্য বর্ণবিদ্বেষমূলক ও নারী বিরোধী বলে অভিযোগ করতে থাকেন নেটাগরিকরা । এরপরই ভিডিয়োটি নজরে পড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভেনশন ফর দ্য কনসারভেশন অফ মাইগ্রেটরি স্পিসিস অফ ওয়াইল্ড অ্যানিম্যালস (সিএমএস) কর্তৃপক্ষের ।
advertisement
তাঁর মন্তব্যের নিন্দা এবং দূতের পদ থেকে রণদীপের অপসারণ নিয়ে সিএমএস সচিবালয় থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে । বিবৃতিতে জানানো হয়, “ভিডিয়োতে রণদীপের মন্তব্য আপত্তিজনক এবং সিএমএসের মূল্যবোধ বিরোধী। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে রণদীপের ভাল কাজ দেখে তাঁকে সিএমএসের দূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তবে তখন এই ভিডিয়োটির বিষয়ে জানত না সিএমএস। সম্প্রতি ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়ায় আসে এবং সিএমএসের নজরে পড়ে।"
সিএমএস রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি চুক্তি বিষয়ক সংস্থা এবং এটি রাষ্ট্রপুঞ্জের সচিবালয় বা রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ কর্মসূচির থেকে আলাদা বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সিএমএস বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যা মাইগ্রেটরি স্পিসিস বা পরিযায়ী প্রজাতি, তাদের আশ্রয় ও গতিপথ নির্ধারণের কাজ করে । এই সম্মেলনের মাধ্যমে পরীযায়ী বন্যপ্রাণীরা যে সব দেশগুলির মধ্যে আসা যাওয়া করে সেই দেশগুলিকে সংগঠিত করে সিএমএস। এক ছাতার তলায় এই দেশগুলিকে নিয়ে যৌথ উদ্যোগে পরিযায়ী প্রজাতির সংরক্ষণের কাজ করে।