ওই সূত্রের দাবি, শরিফ সরকার মনে করছে ‘সীমা পার করেছে’ ইমরানের আচরণ৷ জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিবেশকে অস্থি্র করছেন ইমরান, জেলে থাকা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনটাই মনে করছে বর্তমান পাক সরকার৷
advertisement
সূত্রের খবর, শেহবাজ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মতে ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকার সুবাদে, পাকিস্তানের কৌশলগত সম্পদ, পারমাণবিক সংক্রান্ত তথ্য ও রাষ্ট্রের গোপন তথ্যের ব্যাপারে বহু তথ্য জানেন৷ তাদের অভিযোগ, তার রাজনৈতিক অবাধ্যতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি সংঘাতপূর্ণ মনোভাব এবং গোপন তথ্যের অধিকার পাকিস্তানকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলতে পারে। সূত্রের মতে, এই কারণেই প্রতিষ্ঠানের উদ্বেগ বেড়েছে এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার আলোচনা চলছে।
সূত্রের দাবি, বর্তমান পাক সরকারের মতে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) এবং আফগান তালিবানের মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির প্রতি কথিত সহানুভূতিশীল মনোভাব ইমরানের৷ যা বর্তমান সরকারের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে৷ তাদের মতে, ইমরানের আমলে তাঁর সরকার জঙ্গিদের পাকিস্তানে ফেরত এনে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়ার নীতির সঙ্গে আজকের সন্ত্রাসবাদের ব্যাপক বৃদ্ধির সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে, যা নাকি ৬০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে৷ এতে অনেক সৈনিক ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগগুলোই ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা গঠনের ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে শরিফ সরকার৷
