মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর এবং মুরদিকেতে জঙ্গি সংগঠন জৈশ ই মহম্মদ এবং লস্কর ই তৈবার সদর দফতরে আঘাত হানে ভারতীয় মিসাইল৷ সেই হামলাতেই আব্দুল রউফ আজহারের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷
বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহল কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘যে জঙ্গিদের মৃত্যুর খবর মিলেছে তাদের মধ্যে আব্দুল রউফ আজহার রয়েছে৷ আজহার জৈশ ই মহম্মদের অপারেশনাল হেড ছিল, কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূলচক্রীও সে৷ আন্তর্জাতিক জেহাদি নেটওয়ার্কের অন্যতম প্রধান মাথা ছিল এই আব্দুল রউফ আজহার৷’
advertisement
আব্দুল রউফ আজহারের আরও একটি পরিচয় সে জৈশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই৷ সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের ভারতীয় হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবারের দশ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বোন এবং ভগ্নিপতিও রয়েছে৷ জঙ্গি নেতা নিজেই বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন৷
সরকারি আধিকারিকদের কথায়, ‘আব্দুল রউফ আজহার আইসি-৮১৪ বিমানের অপহরণ এবং তার যাত্রীদের মুক্তির বিনিময়ে আল কায়দা জঙ্গি ওমর সইদ শেখের মুক্তির চক্রান্ত তৈরি করেছিল৷ এই ওমর সইদ শেখই ২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে৷ সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোটা বিশ্ব শিউরে উঠেছিল৷’
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কাঠমাণ্ডু থেকে নয়াদিল্লিগামী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৮১৪ বিমানটিকে অপহরণ করে জঙ্গিরা৷ হরকত উল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর পাঁচ সদস্য বিমানটি অপহরণ করে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে নিয়ে যায়৷ বিমানের যাত্রীদের মুক্তির বিনিময়ে মাসুদ আজহারকেও সেই সময় মুক্তি দিয়েছিল ভারত সরকার৷
এর পরেই মাসুদ আজহার জৈশ ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করেন৷ এর পরে ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলা সহ ভারতের মাটিতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায় জৈশ ই মহম্মদ৷ ২০০১ সালে ভারতের সংসদ ভবনে হামলার পর পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও সেদেশে দিব্যি নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় জৈশ৷