প্রাগের এক পতিতালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছর এমনই এক ‘ম্যারাথন সঙ্গম’ প্রতিযোগিতার আয়োজন হয় ৷ সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সিঙ্গাপুর থেকে প্রাগে এসেছিলেন ওই যুবক ৷
প্রতিযোগিতাটি শুনে অদ্ভুত মনে হলেও এর শর্তগুলি ছিল অত্যন্ত কঠিন ও কড়া ৷ একইসঙ্গে মেডিক্যাল টেস্টে অংশগ্রহণকারীকে পাস করতে হবে ৷ কোনওরকম শারীরিক অসুস্থতা বা নূন্যতম ছোঁয়াচে রোগ থাকলে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে না ৷ এই কম্পিটিশনের প্রথম শর্তই ছিল কোনও রকম শক্তিবর্ধক মেডিসিনের সহায়তা নেওয়া যাবে না ৷ যদিও বিজেতা তরুণ কিছু প্রাকৃতিক খাবার খেয়েছিলেন, যার মধ্যে কি উপাদান ছিল তা তিনি জানাতে চাননি ৷
advertisement
অদ্ভুত এই কম্পিটিশনে নজির গড়ার পর রিপোর্টারদের বিজয়ী তরুণ A Man From Singaporeজানান, তিনি ছোটবেলা থেকে সেক্স অ্যাডিক্ট ৷ এই প্রতিযোগিতার খবর পাওয়ার পর থেকেই তিনি অংশগ্রহণে আগ্রহী ছিলেন ৷ ৩৪ বছর বয়সী ওই যুবকের বিশ্বাস তাঁর সাফল্যের পিছনে রয়েছে কড়া পরিশ্রম ৷ তিনি বলেছেন, একজন ম্যারাথন অ্যাথলিট যেমন ভাবে নিজেকে তৈরি দিনের পর দিন অত্যন্ত কড়া পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ৷ তবে যেকোনও প্রফেশনাল স্পোর্টস ইভেন্টের থেকে কষ্ট ও পরিশ্রমসাধ্য ছিল এই প্রতিযোগিতা ৷
মধ্যরাতে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় আধিকারিকদের সামনেই বাছাই করা মেয়েদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে হয় প্রতিযোগীদের ৷ এছাড়া প্রতিবার সঙ্গমে অন্তত ৫ মিলিমিটার বীর্যপাত না করলে বাদ হয়ে যাবেন প্রতিযোগী ৷ এই সমস্ত কঠোর শর্তে উত্তীর্ণ হয়েই প্রতিযোগিতা জেতেন ৩৪ বছর বয়সী এই তরুণ ৷ তবে আয়োজকরাও ভাবতে পারেননি এমন নজির গড়বেন এই যুবক ৷
মধ্যরাতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে ১২ ঘণ্টা পেরনোর আগেই একটানা ২৯ জন বিভিন্ন বয়সের মহিলার সঙ্গে এক টানা সঙ্গমের পর খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক ৷ উপস্থিত মেডিকেল টিমের ফিজিওথেরাপিস্টের টিট্রমেন্টে ফের প্রতিযোগিতায় ফিরে আসেন এবং প্রায় অসম্ভব এই রেকর্ড গড়েন ৷
৩০ বছর আগে নিজের ফিল্মের প্রমোশনে এক টানা ৫৫ জন মহিলার সঙ্গে রতিক্রীড়া সম্পূর্ণ করে রেকর্ড গড়েছিলেন এক পর্ন অভিনেতা ৷ শেষ ৩০ বছরে বহু যুবক এই রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ৷ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু জন ৷ তবে এই সিঙ্গাপুর যুবকের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি কিছু আলাদা হয়নি ৷ শেষ যুবতীর সঙ্গে ইন্টারকোর্স শেষ হতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্ঞান ফিরতে বেশ অনেকটাই সময় লেগেছিল ওই ওয়ান্ডার বয়ের ৷