সম্প্রতি NeeDoh স্ট্রেস টয় ফ্রিজে জমিয়ে তারপর তা মাইক্রোওয়েভে গরম করে নরম করার চেষ্টাই ট্রেন্ড করছে টিকটকে। মজার ছলে সেলবিও তাই করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে। চটচটে গরম পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে সেলবির শরীরে।
ঘটনার সময় সেলবির কাছেই ছিলেন তাঁর বাবা জোশ সেলবি। তিনি মেয়ের শরীর পরিস্কার করার চেষ্টা করেন। তাঁর হাতেও লেগে যায় ওই চটচটে পদার্থ। সেলবির মুখের অনেকটা পুড়ে গিয়েছে। শ্বাসনালী ফুলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
advertisement
দ্য সান-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কারলেটের বাবা বলেছেন, “আগের রাতে NeeDoh কিউব ফ্রিজে রাখে স্কারলেট। পরেরদিন আমাকে দেখায়, একদম শক্ত হয়ে গিয়েছে। এরপর মাইক্রোওয়েভে দেয়। আমি ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। মাইক্রোওয়েভ থেকে বের করার পর গরম আছে কি না দেখার জন্য ছুঁতেই বিস্ফোরণ ঘটে। চিৎকার করতে শুরু করে স্কারলেট। আমি ছুটে যাই। দেখি গরম আঠালো পদার্থ ওর বুক, মুখ আর চিবুকে লেগে রয়েছে।“
হাত দিয়েই স্কারলেটকে পরিস্কার করতে শুরু করেন জোশ। তিনি বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম হাত দিয়েই পরিস্কার করা যাবে, কিন্তু আমার হাতেও লেগে যাচ্ছিল। খুব ঘন আর আঠালো। কিছুতেই উঠছিল না। শেষে ওঁর জামা ছিঁড়ে ফেলি। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাই। খুব ভেঙে পড়েছিলাম। এক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিল, তার মধ্যে ৩ দিন কোমায়। আমার যে কী অবস্থা হয়েছিল, কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছিলাম না। কথা বলতে গেলেই কেঁদে ফেলতাম।“
বাড়ি থেকে হাসপাতালে যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। গোটা পথ জুড়ে চিৎকার করছিল স্কারলেট। এমনটাই জানান তাঁর মা অ্যামান্ডা। তিনি বলেন, “মেয়ের কষ্ট দেখে আমি থাকতে পারছিলাম না। খুব ভেঙে পড়েছিলাম।“
হাসপাতালে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকরা দেখেন, শরীরের অনেকটা পুড়ে গিয়েছে। তবে এখনই স্কিন গ্রাফটিং (ত্বক প্রতিস্থাপন) করার দরকার নেই। চিকিৎসকরা বলেন, “১২ বছর বয়স পর্যন্ত দেখুন, এর মধ্যে যদি দাগ মিলিয়ে যায় ভাল, নাহলে অন্য কিছু ভাবা যাবে।“ স্কারলেট এখন সুস্থ। তবে ক্ষত পুরোপুরি সারেনি। ক্ষতস্থানে নিয়মিত ওষুধ এবং ক্রিম লাগিয়ে দিচ্ছেন তাঁর মা অ্যামান্ডা। চিকিৎসাও চলছে। দাগগুলো বেশ স্পষ্ট। সেগুলো দেখলে এখনও মন খারাপ হয় স্কারলেটের।