মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, সামোস দ্বীপ অঞ্চলের কারলোভাসি শহরের ১৪ কিলোমিটার ভিতরে এই কম্পনের কেন্দ্র ছিল। তুরস্কের কম্পন কেন্দ্র কম্পনের মাত্রা জানিয়েছে ৬.৬, একই ভাবে গ্রিসের কম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, কম্পনের মাত্রা ৬.৭। ইজমির শহর থেকে একাধিক ছবি উঠে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে বাড়ি ভেঙে পড়ে একেবারে ধুলোয় মিশে গিয়েছে। লোকে ছোটাছুটি করছে প্রাণে বাঁচার জন্য। সরকারি হিসাবে এখনও ছ’টি বাড়ি একেবারে ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ভিতরে কেউ কেউ আটকে থাকতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে এমন সব মারাত্মক ছবি, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, লোকে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করছেন। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার ফলে রাস্তা ঢেকে গিয়ে চওড়া ধুলোয়। তুরস্কের এনটিভির ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে এলাকার পর এলাকা একেবারে ধুলোয় মিশে গিয়েছে। সেনা ও পুলিশের সাহায্যে সেখানে উদ্ধারকাজে হাত মিলিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
advertisement
গ্রিসেও চেহারাটা একই রকম। কম্পনের কেন্দ্র ছিল সামোস দ্বীপপুঞ্জ। সেই দ্বীপের চেহারা পাল্টে যায় কম্পনের পড়ে। হঠাৎ মাটি কেঁপে ওঠায় আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসনে সাধারণ মানুষ। অনেকগুলি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এমন ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে তাঁরা কোনওদিন পরেননি বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষেরা। সামোসের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের খোলা জায়গায় থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে তুরস্ক ও গ্রিস, এই দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীই এই সংকটকালে উভয়কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এই দুই দেশই পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে ৭.৪ কম্পনমাত্রার একটি কম্পন এখানে হয়, তুরস্কে মৃত্যু হয়েছিল ১৭ হাজার মানুষের, ইস্তানবুলে মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার মানুষ।
