নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানিয়েছেন যে, কনস্যুলেটের কূটনীতিক ও কর্মীদের নয়াদিল্লিতে উড়িয়ে আনার পর ভারতীয় কনস্যুলেট অস্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। কান্দাহারের (Kandahar) দক্ষিণ ও হেলমান্দে বিপুল সংখ্যক লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গিদেরও উপস্থিত নজরে এসেছে৷ তার ফলেই ভারতীয় কূটনীতিক এবং সুরক্ষা কর্মীদের সরিয়ে আনা হয়েছে। আফগান সুরক্ষা সংস্থার অনুমান, দক্ষিণ আফগানিস্তানে তালিবানদের পাশাপাশি প্রায় ৭হাজার লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গি উপস্থিত রয়েছে।
advertisement
গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে চলছে জঙ্গি হামলা৷ সেখান থেকে পুরোপুরিভাবে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হবে অগস্ট মাসের শেষে৷ এরফেল দু’দশক পরে মার্কিন সেনা (US Force) মুক্ত হবে আফগানিস্তান৷ আর এর সুযোগেই শুরু হয়েছে জঙ্গি হামলা৷
শনিবার পর্যন্ত তীব্র লড়াই গুলির লড়াই অব্যাহত ছিল। আফগান সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে প্রায় ৭০জন তালিবান জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে৷ প্রায় ২ হাজার পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছিল এবং তারা কান্দাহারের অন্যান্য অংশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কান্দাহার আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। কৌশলগত এবং ব্যবসায়ের দিক থেকে এটি দীর্ঘকাল ধরে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কান্দাহার ছিল তালিবানদের সদর দফতর।
আফগানিস্তানে কূটনীতিক এবং প্রায় তিন হাজার ভারতীয় নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছে ভারত।গত বছরের এপ্রিলে কোভিড -১৯-এর কারণে ভারত হেরাত এবং জালালাবাদে কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে নিরাপত্তার কারণে ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছিল।