এই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষকরা মোট ছ'টি আলাদা আলাদা দিকনির্দেশ প্রকাশ করেছেন পরমাণু যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ক্ষেত্রে। সেখানেই তাঁরা লিখেছেন, সারা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে অর্ধেক মানুষের প্রাণ চলে যেতে পারে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ হলে। এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার ফুড জার্নালে। পাশাপাশি, ভারত পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ হলে কী হতে পারে, তা নিয়েও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থা। তবে ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধ হলেও সেটিকে ছোট মাত্রার পরমাণু যুদ্ধ বলেই নির্দিষ্ট করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণহানী তো বটেই, প্রতিবেশী দুই দেশের লড়াই হলে সারা পৃথিবীতে রাতারাতি ৭ শতাংশ খাদ্য়ের সরবরাহ কমবে, ফলে সেই অভাবে অনেকের মৃত্যু হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন : নয়া মন্ত্রীদের কি বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী? নজরে বৃহস্পতিবারের মন্ত্রিসভার বৈঠক
এ ছাড়াও তাঁরা বলছেন, যদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যদি পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ হয়, তা হলে সারা পৃথিবীতে ৯০ শতাংশ খাদ্য় সঙ্কট দেখা দিতে পারে। যদি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধে, তা হলে তৈরি হওয়া খাদ্য় সঙ্কট মেটাতে হয়ত পশুর খাবারের পরিমাণ কমিয়ে মানুষ বাঁচতে চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু তাতেও বেশিদিন চলবে না। পাশাপাশি, যে শক্তির পরমাণু অস্ত্র আমেরিকা বা রাশিয়ার কাছে রয়েছে, তা প্রয়োগ করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফাটল দেখা দিতে পারে আর তাতে চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে পৃথিবীর জলবায়ুর। সেই কারণেই পৃথিবীর বিভিন্ন শক্তিধর দেশের উচিত, সমস্ত শক্তিকে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হাত থেকে নিরস্ত্র করা।