বেহালার ২৫ নম্বর জেমস লং সরণির বাড়ি। গৃহকর্ত্রী ফুড করপোরেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কর্মী বীণা মজুমদার নাকি প্রায় তিন বছর আগে মারা যান। তখন থেকেই খটকা ছিল। বাড়ির নীচের তলায় কেউ না থাকলেও এসি চলতে দেখা যেত। তারপর থেকেই দানা বাঁধে সন্দেহ।
এই সন্দেহই শেষ পর্ষন্ত প্রকাশ্যে আনল এমন এক ঘটনা, যা একটা থ্রিলারকেও হার মানায়। তবে তাও এই ঘটনা সহজে ঘটেনি। পুলিশ ঢুকতে পারলেও দোতলায় তল্লাশি চালিয়ে বেরিয়ে আসে। তখনই আমরা জানাই।
advertisement
এবার দরজা খুললেই দেখা যায় সেই ফ্রিজার। আর তার পাশেই রাখা একের পর এক ফরমালিনের জার।
- বীণা মজুমদার প্রায় তিন বছর আগে মারা যান
- মায়ের দেহ তারপর থেকে ফ্রিজারে সংরক্ষণ করত ছেলে
- যকৃত-পাকস্থলী-ক্ষুদ্রান্ত্র-বৃহদন্ত্র বের করা হয়
- সেলাই করে ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখা হয় দেহ
কাজে আসে লেদার টেকনোলজির পড়ার শিক্ষাও।
এত ভালভাবে সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হয়েছিল, যে কারণে মৃত মায়ের বুড়ো আগুলের টিপছাপ দিয়ে নিয়মিত পেনশনও তুলত সে।
অর্থাৎ ফুড করপোরেশন অফ ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মায়ের পেনশনের টাকা তুলতেই প্রায় তিন বছর ধরে মৃতদেহ বাড়ির ফ্রিজারে রেখে দিয়েছিল ছেলে। বাবারও বিশ্বাস ছিল ছেলের উপরে। কিন্তু নিউজ১৮ বাংলা প্রকাশ্যে এনে দিল এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাই শেষ পর্যন্ত শুভব্রতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মানসিক বিকারের সঙ্গে কতটা অপরাধ প্রবণতা যুক্ত হলে এমনটা হতে পারে, তারই খোঁজে তদন্ত শুরু ।