উল্লেখ্য, খানাকুলের মারোখানা, ধান্যনগরি,নতিবপুর,পোল সহ বহু এলাকায় এখনো জল কাদায় ভর্তি। নর্দমার জল সহ দূষিত জল পুকুরের জলে গিয়ে মিশেছে। বাড়ির মহিলারা পুকুরের নোংরা জলে গৃহস্থলের কাজ সারছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে টিউবওয়েলের জল পান করেছে বাসিন্দারা। এই মুহূর্তে ভূগর্ভের প্রথম স্থলের জল খাওয়া নিরাপদ নয়। জলবাহিত রোগ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন শিশুরা। জ্বর থেকে শুরু করে ডায়রিয়া ও পেটের যন্ত্রণা সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের পাশে খানকুলের স্কুল, ৫০০ লোকের মুখে উঠছে অন্ন
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান বন্যার জলে প্লাবিত হইছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন নোংরা জল ব্যবহার করতে হয়েছে প্রত্যেক মানুষকে। তাই স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। যেকোনো সময় কোন বাসিন্দার কিছু হলেই আশা কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ঔষধপত্র থেকে বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
আরও পড়ুন: ওখানে প্রায়ই যুদ্ধ হয়, ইজরায়েল যাওয়ার আগে বলেছিলেন হুগলির গবেষক, এবার ভিডিওয়ে কী জানালেন তিনি
আশা কর্মী শান্তনা ঘড়ুই জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে খানাকুলের বন্যায় ডুবে গিয়েছিল বাড়িঘর। এখান থেকে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বাসিন্দারা। তাই প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়িতে বাড়িতে এক কোমর জল পেরিয়ে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে পেটের যন্ত্রণা জ্বর পায়খানা সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিলে তাদের তৎপরতার সঙ্গে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই জানিয়েছেন, জলবাহিত রোগ সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে খোঁজখবর নিচ্ছেন, এই রোগের সচেতনতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে খানাকুল বিধানসভার বেশ কিছু এলাকায় বন্যার জল জমে থাকার কারণে জল বাহিত রোগ বাড়ায় উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ।তবে প্রশাসনের নজরদারি থাকায় অনেকটাই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে বলে জানা গেছে।
শুভজিৎ ঘোষ