TRENDING:

Hooghly News:খানাকুলের বন্যার জল নামতেই শুরু সংক্রমণ, প্রস্তুত স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন

Last Updated:

খানাকুলে জল বাহিত সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের। যদিও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
খানকুল: খানাকুলে বন্যার জল নামতে শুরু করছে। জলমগ্ন এলাকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে জল বাহিত সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের। যদিও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের তৎপরতায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জল বাহিত রোগ। পেটে রোগ থেকে চর্মরোগ প্রতিরোধে আগে থেকেই ওষুধ বিলি করা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের অ্যান্টিভেনামরাখা হয়েছে। আশা কর্মীরা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে বানভাসি বাসিন্দাদের কোনো রোগ হলে দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
advertisement

উল্লেখ্য, খানাকুলের মারোখানা, ধান্যনগরি,নতিবপুর,পোল সহ বহু এলাকায় এখনো জল কাদায় ভর্তি। নর্দমার জল সহ দূষিত জল পুকুরের জলে গিয়ে মিশেছে। বাড়ির মহিলারা পুকুরের নোংরা জলে গৃহস্থলের কাজ সারছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে টিউবওয়েলের জল পান করেছে বাসিন্দারা। এই মুহূর্তে ভূগর্ভের প্রথম স্থলের জল খাওয়া নিরাপদ নয়। জলবাহিত রোগ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন শিশুরা। জ্বর থেকে শুরু করে ডায়রিয়া ও পেটের যন্ত্রণা সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।

advertisement

আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের পাশে খানকুলের স্কুল, ৫০০ লোকের মুখে উঠছে অন্ন

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান বন্যার জলে প্লাবিত হইছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন নোংরা জল ব্যবহার করতে হয়েছে প্রত্যেক মানুষকে। তাই স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। যেকোনো সময় কোন বাসিন্দার কিছু হলেই আশা কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ঔষধপত্র থেকে বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: ওখানে প্রায়ই যুদ্ধ হয়, ইজরায়েল যাওয়ার আগে বলেছিলেন হুগলির গবেষক, এবার ভিডিওয়ে কী জানালেন তিনি

আশা কর্মী শান্তনা ঘড়ুই জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে খানাকুলের বন্যায় ডুবে গিয়েছিল বাড়িঘর। এখান থেকে জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বাসিন্দারা। তাই প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়িতে বাড়িতে এক কোমর জল পেরিয়ে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে পেটের যন্ত্রণা জ্বর পায়খানা সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিলে তাদের তৎপরতার সঙ্গে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

advertisement

অন্যদিকে আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই জানিয়েছেন, জলবাহিত রোগ সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে খোঁজখবর নিচ্ছেন, এই রোগের সচেতনতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে খানাকুল বিধানসভার বেশ কিছু এলাকায় বন্যার জল জমে থাকার কারণে জল বাহিত রোগ বাড়ায় উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ।তবে প্রশাসনের নজরদারি থাকায় অনেকটাই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে বলে জানা গেছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

শুভজিৎ ঘোষ

বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly News:খানাকুলের বন্যার জল নামতেই শুরু সংক্রমণ, প্রস্তুত স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল