TRENDING:

রবীন্দ্র সরণির ঘড়িওয়ালা বাড়ি! কলকাতার প্রথম কমার্শিয়াল থিয়েটারের সূচনা এখান থেকেই

Last Updated:

পুরনো আমলের ৩৬৫ আপার চিৎপুর রোড। এখন ঠিকানা বদলেছে! ২৭৯ রবীন্দ্র সরণি। বিশাল বাড়ির ঘরগুলোয় সারাদিন টুং টাং শব্দে বেজে চলে নানা কিসিমের ঘড়ি। গ্র্যান্ড ফাদার ক্লক থেকে, টিনি মিনি অ্যান্টিক! এখানেই শেষ নয়! বাড়ির ছাদে, রাস্তার ধার ঘেঁষে বসানো 'কুক অ্যান্ড কেলভি'-র পুরনো আমলের বড় একটা ঘড়ি। আর এই ঘড়িটার জন্যই, সেই কোন আমল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে এই বাড়ির প্রচলিত নাম--ঘড়ি অলা মল্লিকবাড়ি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: পুরনো আমলের ৩৬৫ আপার চিৎপুর রোড। এখন ঠিকানা বদলেছে! ২৭৯ রবীন্দ্র সরণি। বিশাল বাড়ির ঘরগুলোয় সারাদিন টুং টাং শব্দে বেজে চলে নানা কিসিমের ঘড়ি। গ্র্যান্ড ফাদার ক্লক থেকে, টিনি মিনি অ্যান্টিক! এখানেই শেষ নয়! বাড়ির ছাদে, রাস্তার ধার ঘেঁষে বসানো 'কুক অ্যান্ড কেলভি'-র পুরনো আমলের বড় একটা ঘড়ি। আর এই ঘড়িটার জন্যই, সেই কোন আমল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে এই বাড়ির প্রচলিত নাম--ঘড়িওয়ালা মল্লিকবাড়ি।
advertisement

কিন্তু মল্লিকবাড়ি কেন? তা হলে গোড়া থেকেই বলা যাক! এই বাড়িটি আদতে ছিল মধুসূদন সান্যালের। ইনিই সেই মধুসূদন সান্যাল যিনি এই বাড়ির উঠোন মাসিক ৪০ টাকায় ভাড়া দিয়েছিলেন 'কলিকাতা ন্যাসনেল থিয়েট্রিক্যাল সোসাইটি'-কে। আর এই উঠোনেই টিকিট বিক্রি করে পত্তন হয়েছিল কলকাতার প্রথম কমার্শিয়াল থিয়েটারের ।

আরও পড়ুন-বিদ্যুতের বিল কমানোর ২০-টি অব্যর্থ টিপস! ফল হাতেনাতে

advertisement

গিরিশচন্দ্র ঘোষ, নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্ধেন্দুশেখর মুস্তফি, রাধামাধব কর ও নন্দলাল ঘোষ মিলে তৈরি করেন 'কলিকাতা ন্যাসনেল থিয়েট্রিক্যাল সোসাইটি'। ১৮৭২-এর ৭ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হয় 'নীলদর্পণ'। এক টাকা ও আট আনা দামের টিকিটে প্রথম অভিনয়ের রাতেই তাঁরা পেয়েছিলেন ২০০ টাকা।

পরবর্তীকালে, মধুসূদন সান্যালের থেকে বাড়িটি কিনে নেন আশুতোষ মল্লিক। তাঁরই ছিল এই ঘড়ির শখ। কিন্তু, আশুতোষ মল্লিক বাড়ি কিনে নেওয়ার পরও, স্থানীয়রা এ'বাড়িকে মধুসূদন সান্যালের বাড়ি বলেই চিনত, ডাকত। আর তাতে বোধহয় নতুন মালিকরা খুশি হননি। তাই,  একদিন বাড়ির ছাদে, রাস্তার ধার ঘেঁষে বসিয়ে দিলেন বড় গোল ঘড়িটি । আর সেই থেকে বাড়ির নতুন নাম-- 'ঘড়িওয়ালা বাড়ি'। অদ্ভুত বিষয়, এখনও পর্যন্ত খারাপ হয়ে যায়নি ঘড়িটা! দেখিয়ে যাচ্ছে নির্ভুল সময়!

advertisement

আরও পড়ুন- গরমকালে বাচ্চাদের হিট র‍্যাশ কেন হয়? রইল সমাধানের উপায়

এ'বাড়িতে এখন থাকেন আশুতোষের চার ভাইয়ের বংশধরেরা। একটি অংশে থাকেন গোড়াচাঁদ মল্লিক। আশুতোষের এক ভাই মতিলালের নাতি। গোড়াচাঁদের অ্যান্টিক-সংগ্রহ দেখার মতো! তাঁর কাছে আছে সম্রাট আকবরের একটি দুষ্প্রাপ্য মিনিয়েচার ছবি, ড্যানিয়েলের এনগ্রেভিং।

advertisement

আজ আর ঘড়ি অলা বাড়ির সেই জৌলুশ নেই! ঠাকুরদালানের সামনে যে উঠোনে প্রথম 'নীলদর্পণ'-এর অভিনয় হয়েছিল, সেই উঠোনটি এখনও আছে। তবে, গড়িমা হারিয়েছে। কালের সঙ্গে সঙ্গে বাহ্যিক জীর্ণতা আসতে পারে! কিন্তু, যে বাড়িতে 'নীলদর্পন'-এর প্রথম পেশাদারি অভিনয় হয়েছিল, তার মননের গর্ব কমাবে কে? তাই আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ২৭৯ রবীন্দ্র সরণির নস্টালজিক ঘড়িওয়ালা বাড়ি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

আরও পড়ুন- হাঁটুর ব্যথা? চট করে কমানোর ৭টি ঘরোয়া উপায়

বাংলা খবর/ খবর/ফিচার/
রবীন্দ্র সরণির ঘড়িওয়ালা বাড়ি! কলকাতার প্রথম কমার্শিয়াল থিয়েটারের সূচনা এখান থেকেই