এভাবেই তিতলির ঝাপটা পশ্চিম মেদিনীপুরে। সকাল থেকেই খড়গপুর, কেশিয়াড়ি, সাঁকরাইলে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ঝড় ৷
আরও পড়ুন: তিতলির ভেল্কিতে উত্তাল সমুদ্র, মৎস্যজীবিদের উদ্দেশ্যে বিশেষ সতর্কতা আবহাওয়া দফতরের
খড়গপুরের নিমপুরা শিল্পাঞ্চলে একটি কারখানার প্রায় ১২ ফুটের পাঁচিল ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই কারখানারই নিরাপত্তা কর্মী ইলিয়াস মল্লিকের।
advertisement
তিতলির প্রভাবে কেশিয়াড়িতেও শুক্রবার সকাল থেকে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। নছিপুরের কয়েকটি জায়গায় কাঁচাবাড়ি ও গাছ উপড়ে যায়। আহত হন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: এবার তিতলি বাংলায় ! জেনে নিন আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাস
বৃষ্টিতে বেহাল ঝাড়গ্রাম। শহরের বেশ কিছু জায়গায় জল জমেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে সাঁকরাইলের রোহিনীর নতুন বাজারে ভেঙে পড়ে প্যান্ডেল। প্রায় ২৫০ বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ৪০টি মাটির বাড়ি ভেঙেছে। লোধাশুলিতেও বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছ পড়েছে একাধিক জায়গায়। ডুলুং ও কাঁসাই নদীর জল বিপদসীমার ছাড়ানোর আশঙ্কা। ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। গিধনিতেও পুজো মণ্ডপ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের।
আরও পড়ুন: পুজোয় গাড়ি নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরোবেন ? দর্শনার্থীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা কলকাতা পুলিশের
বৃষ্টিতে জল জমেছে ঝাড়গ্রামের কিছু এলাকায়। শালবনির পিড়াকাটায় কাঁচা বাড়ি ভেঙে আহত ৫ জন। লোধাশুলির কিছু জায়গাতেও কাঁচা বাড়ি ও গাছ পড়ে যায়।
তিতলির প্রভাব পড়শি জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেও। পটাশপুরে ভেঙেছে কিছু কাঁচা বাড়িও। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কিছু পুজো মণ্ডপও।
রশ্মি কমল, জেলাশাসক, পূঃ মেদিনীপুর