সংস্থার কর্ণধার অরিজিৎ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘এবারের পয়লা বৈশাখ নিয়ে আমরা সবাই প্রস্তুত ছিলাম। কিন্ত করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আটকে গেল সব। তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরও আটকে পড়তে হয়েছে। আমরা সমস্ত জিনিস নিয়ে তৈরি, কিন্তু যানবাহন নেই, পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ারও কোনও উপায় নেই। বছরের শুরুতেই বাঙালি অপেক্ষা করে বসে থাকে পঞ্জিকার জন্য। এই দিনটাতে সারা বছরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পঞ্জিকা বিক্রি হয়। লোকে দেখতে চান বছরের দুর্গাপুজোর সময়, কোন তিথি কখন পড়েছে, শেষ পর্যন্ত বছরটা কেমন যাবে! কিন্তু এবারে প্রায় সেসব বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ছাপা পঞ্জিকা পৌঁছে দিতে না পারলেও আমরা অনলাইনে পঞ্জিকা পৌঁছে দেব মানুষের কাছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কেউ যদি নিজের ইমেল আইডি বা হোয়্যাটস অ্যাপ নম্বর দেন, তাহলে সেখানেই পিডিএফ ফাইল ফরম্যাটে পৌঁছে যাবে এবারের গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা।’ এর ফলে অসংখ্য মানুষের সুবিধা হবে বলেও মনে করছেন তিনি। তাঁর আশা, দিন পনেরো দেরি হলেও, লকডাউন উঠলে মানুষ আগের মতোই নিজের হাতে পঞ্জিকা কিনতে আসবেন। ক’দিন পরে হলেও পঞ্জিকা ঠিক বিক্রি হয়ে যাবে।
advertisement
