মেহুলের আইনজীবী দাবি করেছেন, অ্যান্টিগা থেকে পালাননি চোকসি। তাঁকে হানিট্র্যাপ করে অপহরণ করা হয়েছে। আইনজীবীদের দাবি, চোকসির সঙ্গে গত ছয় মাস ধরে এক মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছিল। গত ২৩ মে চোকসি তাঁর বাড়িতে ডাকেন ওই মহিলা। সেখান থেকেই কয়েকজন ব্যক্তি মেহুলকে অপহরণ করে ডোমিনিকাতে নিয়ে যান। এর পর চোকসিকে নির্বিচারে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
advertisement
অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন (Gaston Browne) জানিয়েছেন ডোমিনিকা থেকে মেহুলকে ভারতে নির্বাসিত করা যেতে পারে, কিন্তু চোকসির আইনজীবীদের দাবি, যেহেতু তাঁদের মক্কেল আর ভারতীয় নাগরিক নন তাই তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠানো যাবে না। মেহুল ২০১৮ জানুয়ারিতে ভারত ছাড়েন, তার একমাস আগে ২০১৭ সালেই সেদেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন এবং ভারতীয় পাসপোর্টও আত্মসমর্পণ করেছেন। ভারতের কিছু সূত্র জানিয়েছে চোকসি ভারতীয় পাসপোর্ট সমর্পণ করতে পারেন, কিন্তু ভারত এটি এখনও গ্রহণ করেনি এবং পাসপোর্ট আত্মসমর্পণের শংসাপত্র জারি করা হয়নি। এছাড়াও জালিয়াতি মামলায় চোকসির বিরুদ্ধে একটি রেড নোটিশ জারি রয়েছে। যা আদালতের বিচার যোগ্য। ভারত ইতিমধ্যে ডোমিনিকার কাছে প্রাসঙ্গিক সমস্ত মামলার কাগজপত্র প্রেরণ করেছে।
ভারত দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয় না। ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ এর ৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জনকারী যে কোনও ভারতীয় নাগরিককে আর দেশীয় নাগরিক হিসাবে গণ্য করা হয় না। এই আইনটি প্রয়োগ না হলে একমাত্র ব্যতিক্রম হল যখন দুই সংশ্লিষ্ট দেশ একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মেহুলের ক্ষেত্রে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ভারতের তরফে সে দেশে পাসপোর্ট আত্মসমর্পণের শংসাপত্র জারি করা হয়নি। তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জনের মুহূর্তে ভারতীয় নাগরিকত্বের অস্তিত্ব বন্ধ হয়। তাই মেহুল এখন সে দেশের নাগরিক। তবে সেখানকার সরকার তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করেছে। কুটনৈতিক মহলের দাবি মেহুল চোকসির ভারতে প্রত্যাবর্তন নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছে।