পারিবারিক এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুসারে, উমের বমি করায় ফুসফুসে তরল পদার্থ প্রবেশ করে, যার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। তার বড় ভাই আহমেদ শাহ ইনস্টাগ্রামে এই খবরটি শেয়ার করেছেন। ভক্তদের উমরকে স্মরণ করার এবং তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন। আহমেদ লিখেছেন, ‘আপনাদের জানানো যাচ্ছে যে আমাদের পরিবারের ছোট্ট উজ্জ্বল নক্ষত্র, উমর শাহ, সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে ফিরে গিয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ করছি যেন তারা তাকে এবং আমাদের পরিবারকে আপনাদের প্রার্থনায় স্মরণ করেন’।
advertisement
প্রসঙ্গত তাদের পরিবারে এটি দ্বিতীয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আর এক ছোট বোন আয়েষাকে ২০২৩ সালের নভেম্বরে হারিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। উমের সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন এবং টিভি ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে দর্শকদের মন জয় করে। ‘জিতো পাকিস্তান’ এবং ‘শান-এ-রমজান’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিতির মাধ্যমে এই জুটি ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে ওঠে। একাধিক রিলস ভিডিওতে তাদের নিষ্পাপ রসবোধ তাদের ভক্তদের প্রিয় করে তোলে।
আরও পড়ুন : কোলে নবজাতক নিয়ে নজিরবিহীন পদক্ষেপ! ৩০ লিটার স্তনদুগ্ধ দান করলেন নামী ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা গুট্টা
উমেরের অকালমত্যুতে বহু সেলিব্রিটি তাঁদের শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ‘জীতো পাকিস্তান’-এর উপস্থাপক ফাহাদ মুস্তাফা প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন যে তিনি উমেরের মৃত্যুতে ‘নির্বাক’। অভিনেতা আদনান সিদ্দিকী তাকে ‘আলো, আনন্দ এবং সারল্যের এক রশ্মি’ বলে অভিহিত করে আরও বলেন, ‘আমি ভেঙে পড়েছি… এটা অসম্ভব মনে হচ্ছে যে ও আর আমাদের মধ্যে নেই।’ ‘শান-এ-রমজান’ অনুষ্ঠানে উমেরের উপস্থাপক ওয়াসিম বাদামি ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করার পর উমেরের মৃত্যুর কারণটি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে আইজাজ আসলাম তাকে ‘একজন ছোট দেবদূত’ এবং ‘একজন উজ্জ্বল, দয়ালু আত্মা যে সবার মুখে হাসি এনেছিল’ বলে স্মরণ করেছেন।
মাহিরা খান, হিনা আলতাফ, মোমল শেখ, শায়েস্তা লোধি, প্রাক্তন ক্রিকেটার সরফরাজ আহমেদ এবং খুদে ইনফ্লুয়েন্সার মুহাম্মদ সিরাজও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি এই ক্ষতিকে ‘নিজের একটি অংশ হারানোর’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।

