পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূজা জিনা সরকার নামে এক বান্ধবীকে ফোন করে নেতাজিনগরের ওই ফ্ল্যাটে আসতে বলেন। জিনা যখন সেখানে পৌঁছয় তখন সেখানে আগে থেকেই তাঁদের আর এক বান্ধবী টুম্পা রায় উপস্থিত ছিল। এরপর তিন বান্ধবী একসঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দেন, খাওয়া দাওয়া হয়, মদ্যপান করেন। এরপর আচমকাই শুরু হয় তাঁদের মধ্যে অশান্তি। যার পরিণতি হয় মর্মান্তিক। স্থানীয়দের অনেকের দাবি, দুই বান্ধবীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। একে ওপরের বহুদিনের পরিচিত। অনেক সময় তাঁদের একসঙ্গে দেখা যেত। ফলে সেই সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় বান্ধবীর প্রবেশই অশান্তির সূত্রপাত কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তবে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানায়নি।
advertisement
এ দিকে জিনা জানিয়েছেন, এ দিন আচমকাই পূজার সঙ্গে ফ্ল্যাটে উপস্থিত বান্ধবী টুম্পার বচসা শুরু হয়। একে ওপরকে উদ্দেশ্য করে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করছিল। অশান্তি ছরমে উঠলে পূজা ঘুমের ঔষুধ খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। সেইসময় টুম্পা তাঁর মুখেচোখে জল ছিটিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু তাতে সে কোনও কথা শুনতেই রাজি হয়নি। বরং তাঁদের ঘর থেকে বের করে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। মিনিট পাঁচেক পরে ফের তাঁরা পূজাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় বার বার ধাক্কা দেন। কিন্তু তাতেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর দু'জনে মিলে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পূজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এরপর কোনও সময় নষ্ট না করেই গামছা কেটে তাঁকে নিচে নামিয়ে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান দুজনে। খব্র দেওয়া হয় পুলিশেও। যদিও চিকিৎসকের পূজাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ দিন টলিউডের এই সহকারী পরিচালকের মৃত্যুতে অনেকেই হতবাক। আচমকা কেন পূজা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ভেবেই পাচ্ছেন না সহকর্মীরা।