এ বার ঋতাভরী এলেন মনের কথা শুনতে । এই করোনাকালে মানুষ বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত, ক্লান্ত । মানসিকভাবে অবসন্ন হয়ে পড়ছেন অনেকে । এর থেকে বাড়ছে অবসাদ, গ্রাস করছে মানসিক রোগ । আর এই সমস্যার মোকাবিলা করতেই এ বার হাল ধরলেন খোদ নায়িকা । সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘তোমাদের সব রকম মনোকষ্টে, হতাশায়, মনের জোর হারানো একাকীত্বের সুরাহা করতে চাই। কথা বলো মনোবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে। কোন খরচ দিতে হবে না। তার জন্য আমি আছি, আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত আর "সহায়তা" আছে। কল করো: 18002039865 ।’’
advertisement
ঋতাভরীর প্রিয় বন্ধু দুবাইবাসী রাহুলের কথা কমবেশী অনেকেই জানেন । নায়িকার যে কোনও সমাজসেবা মূলক কাজেই পাশে থাকতে দেখা যায় রাহুলকে । এ বারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না । নায়িকা চান, অন্ধকার এই টানেলের থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীটা আরও একটু সুন্দর হয়ে উঠুক । ঘরে আটকে থেকে অনেকেই আজ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত । এই সময়টা কাটিয়ে ফের সুস্থ জীবনে ফেরা আবশ্যক । আর সে জন্যই তিনি এই নতুন কাজ শুরু করতে চলেছেন । যেখানে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে যে কেউ মনোবিদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন । তাও আবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ।
টেলিভিশনের মেগা ধারাবাহিক দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলা শুরু হয়েছিল ঋতাভরী চক্রবর্তীর । বর্তমানে টলিউডের গণ্ডী পেরিয়ে বলিউডেও সফল তিনি । বাংলা, হিন্দি দু’টি ভাষাতেই গেয়ে ফেলেছেন তাঁর সিঙ্গলস । যা তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে শ্রোতাদের মধ্যে । এখানেই শেষ নয় । একটি স্বেচ্ছেসেবী সংস্থাও চালান ঋতাভরী । বহু অনাথ ছেলেমেয়ের কাছে তিনিই তাঁদের মা । অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁদের নিয়েও অনেকটা সময় কাটে ঋতাভরীর । অভিনয়, মডেলিংয়ের পাশাপাশি এখন ঋতাভরীর আরও একটা বড় পরিচয় হল তিনি সমাজকর্মী । সে অনাথ শিশুদের দায়িত্ব নেওয়াই হোক বা বয়স্ক বস্তিবাসীদের টিকাকরণ, সবেতেই এগিয়ে আসেন নায়িকা । দিন কয়েক আগে প্রায় ১০০ জন বয়স্ক, অসহায় মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন নায়িকা ।
সম্প্রতি শুরু করেছেন কলকাতার সমস্ত সাধারণ শৌচাগারে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং বসানোর কাজ । ইতিমধ্যেই ১০০-টিরও বেশি টয়লেটে প্যাড মেশিন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে । ঋতাভরীর ইচ্ছা দেশের মধ্যে প্রথম শহর হোক কলকাতা, যেখানে সমস্ত পাবলিক টয়লেট থেকে বিনামূল্যে সমস্ত মেয়েরা স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করতে পারবেন ।