বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা হলেও জাতীয় পুরস্কাপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী যেন এ বার মাত্রাটা বাড়িয়ে দিলেন। ফেসবুক পোস্টে নোবেলকে সামনে পেলে মারধরের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন তিনি ৷
সম্প্রতি জি বাংলার রিয়ালিটি শো ‘সা-রে-গা-মা-পা’ শেষ হয়েছে। তাতে তৃতীয় হয়েছেন প্রতিযোগী নোবেল৷ তবে তাঁর গুণমুগ্ধরা এই ফলাফলে মোটেও খুশি নন৷ অনেকের দাবি, নোবেলের সঙ্গে নাকি দুর্ব্যবহার করেছে ওই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ৷ কৃতিদের যোগ্যতা নির্ণয়ও সঠিকভাবে হয়নি বলেই দাবি নোবেলের অনুরাগীদের ৷ তবে, নোবেলের সম্পর্কেও অভিযোগ বিস্তর ৷ শোনা যাচ্ছে, ছেলেটি ভাল হলেও তাঁর কিছু আচরণগত ত্রুটি রয়েছে ৷ আর এর জেরেই নাকি তৈরি হচ্ছে সমস্যা ৷ আর এই দুই তরফের গুঞ্জনেই এই মুহূর্তে সরগরম এপার ও ওপার বাংলা ৷
advertisement
যদিও শোনা যাচ্ছে নোবেলের ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি নাকি ৮ মাস আগের ৷ সেই ভিডিওতে সঞ্চালকের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন স্বভাবতই আসে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ৷ আর তখনই নোবেল বলেন, "রবীন্দ্র নাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' যতটা না দেশকে এক্সপ্লেইন করে তারচেয়ে কয়েক হাজার গুণে এক্সপ্লেইন করে প্রিন্স মাহমুদ স্যারের লেখা এই গানটা।" এমনকী এই গানটিই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হোক, এমন দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিলও হয়েছিল বলে জানান নোবেল।
নোবেলের মন্তব্যের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী৷ সাক্ষাৎকারটি দেখার পর নোবেলকে ‘চাবকাতে ইচ্ছা করে’ বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি। তিনি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, 'সরি টু সে এবাকে সামনে পেলে চবকাতাম।'
ইমন চক্রবর্তীর সেই পোস্ট
বেশ কয়েকটি মাধ্যমকে ইমন বলেন, 'শুধুই যে নোবেল বাংলাদেশকে অপমান করেছেন, জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছেন এমন নয়, বাঙালির সাংস্কৃতিক আত্ম্যাভিমানে আঘাত করেছেন। একজন শিল্পী হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ করেছি।' পাশাপাশি ইমনের আরও দাবি, নোবেল তাঁর থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট৷ তাই বড় দিদির মতো তাঁকে শাসন করতে চেয়েছেন। যদিও নোবেলের সেই সাক্ষাৎকার ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৷
তবে কেউ কেউ যুক্তি সাজাচ্ছেন, কারও ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতেই পারে ৷ তিনি সে সম্পর্কে বলতেই পারেন ৷ কিন্তু তাঁর সেই পছন্দের বিষয়টি বলার জন্য কেউ যি তাঁকে মারধর করতে চান, সেটি কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ আসলে এই বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না৷