সায়নী লিখছেন, "এটাই হল বিজেপি (BJP)। বাংলার মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটা নিতে পারছে না। তাই উত্তরপ্রদেশের স্কুলের পাঠ্যসূচী থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাদ দিয়েছে। প্রতিহিংসাপূর্ণ, অসম্মানজনক ও কুখ্যাত। উত্তরপ্রদেশের মানুষের জন্য করুণা হচ্ছে যাঁরা একজন আসল গুরুদেব কে হারিয়ে পেলেন নকল বাবাজি ও যোগীজিকে পেলেন।"
এতদিন পাঠ্যসূচীতে ছিল 'ছুটি' গল্পের ইংরেজি অনুবাদ 'দ্য হোম কামিং। সেটি সরিয়ে দেওয়া হল। তবে, শুধু রবীন্দ্রনাথ নয়, যোগী আদিত্যনাথ এর রাজ্য দ্বাদশ ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে রাধাকৃষ্ণণের লেখাও বাদ পড়েছে। দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের প্রবন্ধ 'দ্য উইমেনস এডুকেশন'-ও(The Women's Education)বাদ পড়েছে। দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে বাদ গিয়েছে সরোজিনী নাইডুর কবিতা 'দ্য ভিলেজ সং' এবং রাজাগোপালাচারির রচনা। দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজির সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছে আর কে নারায়ণের গল্প 'অ্যান অ্যাস্ট্রোলজার্স ডে', মুকুল আনন্দের 'দ্য লস্ট চাইল্ড'। শেলির কবিতাও পড়ানো হবে না উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের।
সায়নী বহু প্রসঙ্গেই বিজেপিকে টুইট করে তুলোধনা করে। পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়েও মোদি সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন সায়নী। ভোটের আগে বিজেপি বার বার বলেছে 'ইস বার ২০০ পার'। তাই সায়নী টুইট করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি তাদের ২০০ আসন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু গোটা দেশে পেট্রোলের দামে তার #IssBar100Paar করে ফেলেছে।'
উল্লেখ্য, ভোটের আগে জোর কদমে প্রচার করেছেন সায়নী। হেরে যাওয়ার পরেও তিনি মানুষের হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এর পরে তাঁকে যুব তৃণমূল সভানেত্রীর পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।