কারণ নেটিজেনরা দাবি করতে থাকেন, এই ছবি আসলে ক্রপ করা। পুরো ছবিটি এর পর নেটিজেনরাই পোস্ট করেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাদার টেরেসার পাশে বসে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও। আর প্রসেনজিতের পাশে ছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রী রায়ও। কেন গোটা ছবিটি দিলেন না এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ও ট্রোল করেন। অনেকে দাবি করেন, সেই সময়ে জ্যোতি বসুর সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গিয়েছে, তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তিনি কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছেন। সেই অভিযোগেরই পাল্টা জবাব দিলেন প্রসেনজিৎ।
advertisement
প্রসেনজিৎ তাঁর পোস্টে লিখছেন, "আমি সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং-এর বিরুদ্ধে কোনও উত্তর দিই না। কিন্তু এইবার প্রয়োজন মনে হল কারণ এই ছবিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের জন্য আমার অপার শ্রদ্ধা রয়েছে। প্রথমত আমি ছবিটি ক্রপ করিনি। আমায় বহুদিন আগে এই ছবিটি একজন পাঠিয়েছিলেন। ভাবলাম মাদার টেরেসার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেই ছবি পোস্ট করি।"
বুম্বাদা আরও লিখছেন, "দ্বিতীয়ত মাদার টেরেসাকে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া এই ছবি পোস্ট করার আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তাছাড়া আমি বিশ্বাস করি, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছবি শেয়ার করার অর্থ এটা নয় যে, সেই দলকে আমি পছন্দ অথবা অপছন্দ করি। আর তাই আপনাদের পোস্ট করা গোটা ছবিটাই আমি জুড়ে দিলাম আমার পোস্টের সঙ্গে। আমাদের বিশ্ব খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দয়া ছড়িয়ে দিন, ঘৃণা নয়।"