খাদ্য-রসিক নীল। তবে খেতে ভালবাসলেও খাওয়ারের পছন্দের তালিকাটি খুবই সংক্ষিপ্ত নীলের। অন্তত এমনটাই দাবি তৃণার। কপোত-কপোতি যুগলে জানালেন, নীলের কী কী ফেভরিট তা খুব ভাল করেই জেনে গিয়েছেন তৃণার পরিবারের সবাই। তাই ষষ্ঠীর আগে খাওয়ার বা উপহারের জন্য আলাদা করে কোনও উইশ লিস্ট যায়নি শাশুড়ি মায়ের কাছে। বরং প্রথম জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ি মা নিজেই খাবারের লম্বা লিস্ট বানিয়েছেন নীলের পছন্দ মাফিক।
advertisement
জামাই ষষ্ঠীর মেনু নিজেই বললেন তৃণার মা, সবিতা সাহা। এই অতিমারিতে বাজার-হাটে একটু সমস্যা তো আছেই। কিন্তু তাই বলে তো আর প্রথম জামাইষষ্ঠীকে হেলাফেলা করা চলে না। তাই সময় হাতে রেখে একটু আগে থাকতেই শুরু করেছেন প্রস্তুতি। এমনি সময় রান্নার দায়িত্ব অন্য কাউকে দিলেও এই বিশেষ দিনটিতে পুরোটাই নিজে হাতে করতে চান সবিতা। বললেন, জামাই নীল সবথেকে বেশি ভালোবাসেন খাসির মাংস খেতে। ভালোবাসেন পোলাও আর আমের চাটনিও। প্রায়ই নাকি নিজে হাতে চাটনি বানিয়ে পাঠান শাশুড়ি মা। তবে চিংড়ি মাছে এলার্জি আছে নীলের। তাই ওটার নো এন্ট্রি জামাইষষ্ঠীর মেনুতে। তাহলে কী কী বানাচ্ছেন তৃণার মা?
রইল জামাইষষ্ঠী লাঞ্চের মেনু/ তালিকা...
১) বাসন্তী পোলাও
২) ফিশ ফ্রাই
৩) মাছের কালিয়া
৪) ভেটকি মাছের পাতুরি
৫) মাটন
৬) আমের চাটনি
৭) রাবড়ি
জামাইষষ্ঠীর গিফট অবশ্য ইতিমধ্যেই হাতে পেয়ে গিয়েছেন নীল। জামাইয়ের পছন্দ জানেন শ্বশুর-শাশুড়ি। তাই আগাম উপহার হিসেবে মোবাইল ফোন দিয়েছেন জামাইকে। ওদিকে শাশুড়ি মায়ের জন্য নিজে পছন্দ করে একটা খুব সুন্দর শাড়ি কিনেছেন নীল। সেটাই শাশুড়িকে উপহার দিতে চলেছেন ষষ্ঠীর প্রণাম জানিয়ে। "দোকান পাট বন্ধ। তাই অনলাইনেই ভরসা। হাসতে হাসতে বললেন নীল।" তৃণার পেছন থেকে হালকা টিপ্পনি, "এইসব উপহার-পর্ব অবশ্য শাশুড়ি আর জামাইয়ের মধ্যেই হচ্ছে। আমায় কিন্তু কেউ কোনও গিফট দেয়নি!" নীলের আলতো সান্তনা, "বৌমা ষষ্ঠীও হয়ত হবে কোনওদিন। সেদিন তুমিও পাবে।"
উপহার নিয়ে নীল-তৃণার খুঁনসুটি চললেও ওদিকে সবিতা দেবী কিন্তু স্পেশাল উপহার রেখেছেন ষষ্ঠীর দিনের জন্যে। বললেন, আমার তরফে বিশেষ কিছু উপহার থাকবে মেয়ে-জামাই দু'জনের জন্য। নীলের প্রশংসায় এককথায় পঞ্চমুখ শাশুড়ি-মা বললেন, "জামাই আমার বড় আদরের। খুবই হাসিখুশি, ছেলেমানুষ! তাই ওর জন্য থাকবে স্পেশাল কিছু 'সারপ্রাইজ'। কিন্তু মেয়েও আমার ফেলনা নয়! আমি তৃণার জন্যেও তাই রেখেছি সারপ্রাইজ গিফট!"
একমাস বন্ধ থাকার পরে বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে শ্যুটিং। তাই জামাই ষষ্ঠীর দিনেই শ্যুটিং-এ পৌঁছতে হবে নীলকে। ইতিমধ্যেই তাই এক প্রস্থ প্রি-জামাইষষ্ঠী সেড়ে ফেলেছেন নীল-তৃণা। তবে বোসপুকুরে তৃণাদের বাড়িতে ষষ্ঠীর দিনেও কোনও একটা সময়ে পৌঁছে যাবেন যুগলে। পথ চেয়ে থালা সাজিয়ে বসে থাকবেন শাশুড়ি মা-ও। বললেন, "হাজার হোক ওঁদের জীবনের প্রথম জামাই ষষ্ঠী তো"!