উল্টোপাল্টা ছবি নির্বাচন করে প্রায় ডুবতে বসেছিল যিশুর কেরিয়ার। ব্যবসায়ী হিসাবে সাফল্য পেলেও ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছিল তাঁর অভিনেতা সত্ত্বা। এই সময়ে রীতিমতো ত্রাণকর্তা হয়ে দেখা দেন সৃজিত। এক যে ছিল রাজা (Ek je chilo Raja), উমা (Uma), নির্বাকের (Nirbaak) মতো ছবিতে যিশুকে বলিষ্ঠ চরিত্র দিয়ে তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করান সৃজিত। পর্দার বাইরেও দু'জনের বন্ধুত্ব ছিল গভীর।
advertisement
যদিও হাওয়া এখন অন্য খাতে বইছে। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের জীবন নিয়ে সৃজিত তৈরি করতে চলেছেন ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ (Lawho Gouranger Naam Re) বলে একটি ছবি। বাংলার দর্শকের চোখে এখনও মহাপ্রভু বলতে যিশুর মুখ ভেসে ওঠে। একসময় ছোট পর্দায় যিশু অভিনীত মহাপ্রভু ধারাবাহিকটি আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তাই ছবির প্রযোজক চেয়েছিলেন সেই নস্ট্যালজিয়াকে কাজে লাগিয়ে যিশুকেই এই চরিত্র দিতে। তবে পরিচালকের সাফ জবাব যে তিনি যখন ছবির চিত্রনাট্য লিখছিলেন তখন তাঁর মাথায় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের (Anirban Bhattacharya) নাম এসেছিল। যিশুর কথা তিনি ভাবেননি।
যদিও টালিগঞ্জের ফিল্ম পাড়ায় কান পাতলে অন্য গল্প শোনা যাচ্ছে। সূত্র বলছে যে সামনের বছর যে ছবি শুরু হবে তার জন্য আগে থেকে নিজের ডেট আটকে রাখায় সায় ছিল না যিশুর। কারণ তিনি ইতিমধ্যেই হিন্দি, বাংলা মিলিয়ে অনেকগুলো ছবির কাজ করছেন। তাছাড়া যিশুর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বলেছেন যে ছবির সেটে সৃজিতের ব্যবহারে বিরক্ত হয়েছেন অভিনেতা। অনেকেই জানেন মনের মতো শট দিতে না পারলে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েন পরিচালক, চিৎকার চেঁচামেচিও শুরু করে দেন। একটা সময়ের পর সেটা আর নিতে পারছিলেন না যিশু। তাই তিনি নিজেই দূরে সরে গিয়েছেন।
অবশ্য এই চেঁচামেচির ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন সৃজিত। বলেছেন সেটে কেউ প্রস্তুত হয়ে না এলে সেটা তাঁর চোখে অপরাধ। আপাতত সাবাশ মিঠু (Sabash Mithu) ছবির কাজে চারমাস মুম্বইয়ে থাকবেন তিনি। তার পর পঙ্কজ ত্রিপাঠীর (Pankaj Tripathi) সঙ্গে শেরদিলের (Sherdil) কাজ শেষ করেই মহাপ্রভুকে নিয়ে নতুন ছবি শুরু করবেন।