ডার্বিতে এমন কীর্তি তাঁর আগে কেউ করতে পারেনি। পরবর্তীকালে অসিত গঙ্গোপাধ্যায় মোহনবাগানের হয়ে ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন, কিন্তু একা চার গোল করতে পারেননি। পরবর্তীকালে বাইচুং ভুটিয়া, এডে চিডি ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছেন। চিডি স্পর্শ করেছেন অমিয় দেবের রেকর্ড। মোহনবাগান জার্সিতে তিনিও লাল হলুদের বিপক্ষে এই কীর্তি অর্জন করেন। বাইচুং তিনটি গোল করেন ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে। সেটা ছিল বিখ্যাত ডায়মন্ড ম্যাচ। অমিয় দেব এমন একজন প্রতিভা যিনি একইসঙ্গে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট এবং হকিও দাপিয়ে খেলতেন।
advertisement
বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরান রয়েছে তাঁর। ফুটবল জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি পায়ের সিন বোন ভেঙে যাওয়ার ফলে। একটি পা ছোট হয়ে যায়। মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে তিনি 'কানিদা' নামেই বিখ্যাত ছিলেন। সেই সময় বিখ্যাত ছিল মোহনবাগানের টেনিস কার্নিভাল। টেনিসেও সমান পারদর্শী ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে চুনী গোস্বামী ছাড়া এমন প্রতিভা খুব বেশি দেখা যায়নি।
