TRENDING:

সাধারণ ঘরের ছেলে হয়েও আজ টলিপাড়ায় ক্যামেরার শেষ কথা তিনি, মুখোমুখি সৌমিক হালদার

Last Updated:

সৌমিক হালদার নিজে এতো বছর ক্যামেরাতে পারদর্শিতা দেখালেও এবারে পরিকল্পনা করছেন নিজের ছবি পরিচালনা করার। সৌমিক হালদারের সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডায় News18 বাংলা ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
SREEPARNA DASGUPTA
advertisement

যে ক’জন চিত্র গ্রাহক এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় কাজ করছেন তার মধ্যে যদি শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয়ে কাউকে বেছে নেওয়া হয়ে তাহলে নিঃস্বন্দেহে সে নাম হবে সৌমিক হালদার। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা পরিচালক তো বটেই, যাঁরা সবেমাত্র ছবি পরিচালনায় হাত পাকাচ্ছেন সকলেই চান সৌমিকের সঙ্গে কাজ করতে। এহেন সৌমিক হালদার নিজে এতো বছর ক্যামেরাতে পারদর্শিতা দেখালেও এবারে পরিকল্পনা করছেন নিজের ছবি পরিচালনা করার। সৌমিক হালদারের সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডায় News18 বাংলা ৷

advertisement

প্র: এই ইন্ডাস্ট্রিতে যে কাজ করবে সেটা কি ভাবে স্থির করলে?

উ: আসলে অনেক কম বয়স থেকেই আমি সিনেমা ভক্ত। অনেক দেশি বিদেশি ছবি দেখে বড় হয়েছি। বরাবরই ইচ্ছে ছিল এই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করবো। সেই কারণেই আমি FTII থেকে পড়াশোনা করেছি। পড়েছি ক্যামেরা ডাইরেকশন নিয়ে ৷ কিন্তু আমার একটা ইন্টারেস্ট সবসময়ে কাজ করতো যে আমি পরিচালনাটাও পারব। সেটার প্রতি আমার আগ্রহ আছে।

advertisement

প্র: ব্রাত্য বসুর সঙ্গে প্রথম ছবি করেছো 'রাস্তা', তার পর একটা দারুন টার্ন নিল ক্যারিয়ার, সেটা কি করে হলো?

উ: আমি খুব লাকি বলে মনে করি যে আমি ঠিক টাইমে ঠিক ব্রেকগুলো পেয়েছি। আসলে বুম্বাদা আমার অনেক কাজ দেখেছিলেন। তারপরে ওঁর সঙ্গে ও ঋতুদার সঙ্গে আমি ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ করার সুযোগ পাই। আমাকে উনি খুবই সাপোর্ট করেছেন।

advertisement

প্র: ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে কাজ করার কেমন অভিজ্ঞতা?

উ: ঋতুদাকে ডিফাইন করা যায়না। ওঁনার সঙ্গে কাজ করে আমার কাজের পরিধি বেড়ে গিয়েছিল। ঋতুদার মতো শট ডিজাইনিং, প্রোডাকশন ডিজাইনিং এবং আ‍্যক্টিং কোরিওওগ্রাফি কেউ করতে পারবে না। পুরো সেটটাকেই বদলে দিতেন। আমি প্রচুর কিছু শিখেছি ওঁনার থেকে। এসথেটিক্স বলতে যা বোঝায় আমি ঋতুদার থেকেই শিখেছি।

advertisement

প্র: সৃজিত আর কৌশিকদাকে নিয়ে কি বলবে ?

উ: সৃজিত নিউ স্টাইল অফ বেঙ্গলি সিনেমা বলে আমি মনে করি। আমার সঙ্গে ওঁর একটা দারুন সমীকরণ আছে। ও আমাকে কিছু বলার আগেই আমি বুঝতে পারি। ও ভীষণ ভার্সেটাইল। ওঁর ভিশন খুব ক্লিয়ার। নিউ এক্সপেরিমেন্ট ওঁর থেকে শিখতে হয়। কৌশিকদা অন্য দিকে আবার ভীষণ ক্লাসিকাল ফর্ম অফ ফিল্ম মেকিংয়ে বিশ্বাস করেন। উনি এমন সব এলিমেন্ট যোগ করেন যেটা আলাদা একটা চমক এনে দেয় পুরো ছবিতে। উনি নিজেও দুর্দান্ত অভিনেতা, উনি সবটাই দারুন পারেন।

প্র: ছবির কাজ করতে গিয়ে তো দুনিয়ার সবটাই ঘুরে ফেললে?

উ: আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। প্রথম বিদেশে গেলাম, সেটা ছিল ‘মিশর রহস্য’-র জন্য। ভাবতে পারো? তারপরে তো পরপর অনেকবারই বিদেশে গিয়েছি। পুরো সাউথ আফ্রিকা ঘুরে ফেলেছি চাঁদের পাহাড়ের জন্য। ভাবো আমাজনে দু’বার গেলাম। একবার ‘আমাজন অভিযানে’র জন্য আরেকবার ‘প্রফেসর শঙ্কু’র জন্য। ডাঙায় বাঘ আর জলে আ‍্যনাকন্ডা আর কুমির। এরকম কোনওদিন দেখব ভাবতেই পারিনি।

প্র: ছবি বানাচ্ছ শুনলাম?

উ: দেখো দু’টো স্ক্রিপ্ট তৈরী হয়ে রয়েছে। কিন্তু এখনও ওটার কাজ চলছে। পদ্মনাভর সঙ্গে। মোট চারটে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ চলেছে । দু’টোর কথা অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আগে একটা ‘বারুদ’ বলে টেলিভশনের জন্য ছবি বানিয়েছি। এবারে ওয়েব প্লাটফর্মের জন্য ‘ব্যোমকেশ’ তৈরী করব ৷ এটাতে অনির্বান অভিনয়ে করবে।

প্র: প্রথম ছবিতে কাকে কাস্ট করবে?

উ: দেখো বুম্বাদা, আবির, যীশু, দেব আমি এঁদের সঙ্গেই বেশি কাজ করেছি। আমি ওঁদের মধ্যে থেকে বেছে নেবো। এটা নির্ভর করছে কোন গল্প আমি প্রথমে করবো তার ওপরে।

প্র: কারা কারা বন্ধু ইন্ডাস্ট্রিতে ?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শ্মশানের সামনে ভূত-প্রেতের নাচ! বছরের পর বছর ধরে চলছে গা ছমছমে রেওয়াজ
আরও দেখুন

উ: যীশু বা আবির আমরা একসঙ্গে এই ইন্ডাস্ট্রিতে বড় হয়েছি। বুম্বাদাকে আমি মেন্টর মনে করি। আমাকে সব ক্ষেত্রেই সাহায্য করেছেন। পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমার খুবই ভালো বন্ধু। ওঁর দুটো ছবিই আমি করেছি। দেব অভিনীত ওর আগামী ছবি ‘গোলন্দাজে’ আমিই ক্যামেরা করছি।

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
সাধারণ ঘরের ছেলে হয়েও আজ টলিপাড়ায় ক্যামেরার শেষ কথা তিনি, মুখোমুখি সৌমিক হালদার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল