উত্তম কুমার যে খাদ্য রসিক ছিলেন তা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কি খাবারের শেষপাতে রসগোল্লা ছিল উত্তম কুমারের খুব প্রিয়। কিন্তু সেই রসগোল্লা তিনি খেতেন নুন দিয়ে। সুপ্রিয়া দেবীর হাতের রান্না ছিল তাঁর পছন্দের। উত্তম কুমারকে প্রায়ই পঞ্চব্যঞ্জন রেঁধে খাওয়াতেন তিনি। মাছ, মাংস থেকে ফল মিষ্টি সবই থাকত। তখন উত্তম কুমার বুঝে উঠতে পারতেন না কোন খাবারটা দিয়ে শুরু করবেন।
advertisement
২০১৮-য় সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুর পরে তাঁর মেক আপ ম্যান কিশোর দাস এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন নানা কথা প্রকাশ করেন। সুপ্রিয়া দেবী খাবার পরিবেষণ করার পরে উত্তম কুমার সব খাবারই খেতেন, তবে অল্প পরিমাণে। আর খাওয়ার শেষ পর্বে থাকত রসগোল্লা। তবে মহানায়ক রসগোল্লা আস্বাদন করতেন নুন দিয়ে। কারণ সরাসরি চিনি বা মিষ্টি খেতেন না উত্তম কুমার। আর তাঁকে দেখে সুপ্রিয়া দেবীও নুন ও লেবুর জল দিয়ে রসগোল্লা খেতেন। তার স্বাদ নাকি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই বেলভিউ ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন উত্তম কুমার। মৃত্যুর ৪১ বছর হয়ে গিয়েছে। তবুও বাঙালির স্মৃতিপটে মহানায়ক অমলিন হননি। পর্দায় ফুটে ওঠা সেই গভীর দৃষ্টি ও রোম্যান্টিক হাসি দেখে সেদিনও যেমন আপামর বাঙালি মুগ্ধ হতো, আজও ঠিক তেমনই হয়। তবে আজকের মহানায়কের ভাগ্যে প্রথমেই জুটেছিল ফ্লপ মাস্টারের তকমা। ১৯৪৮ সালে প্রথম ছবিতে প্রথম ছবি দৃষ্টিদান। এরপরে ১৯৫২ অবধি প্রতিটি ছবিই ফ্লপের তালিকায় চলে যায়। কিন্তু ১৯৫৩-তে তাঁর অভিনীত সাড়ে চুয়াত্তর দাগ কাটে বাঙালির মনে। আজও এটি একটি কালজয়ী ছবি।