সোমবার ফেসবুকে পরীমণির ছবি শেয়ার করে নিজের মনের কথা জানান জয়া। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'পরীমণির খবরটি শোনার পর থেকে বেদনা ও ধিক্কারে মনটা ভরে উঠেছে। আমি কষ্ট পাচ্ছি মানুষ হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, অভিনয়–জগতের একজন সদস্য হিসেবে। একবিংশ শতকের অনেকটা পথ পার হয়ে এসে এখনো মেয়েদের এমন লাঞ্ছনা দেখতে হবে? কোনো মানুষ, কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার মন, মানসিকতা বা দুঃসাহস কোত্থেকে আসে? যে চলচ্চিত্রশিল্পকে রক্তে–ঘামে আমরা তিল তিল করে গড়ে তুলছি, তা এতই নাজুক, এতই খেলো? এ ঘটনা আমরা তলা পর্যন্ত বুঝতে চাই। আমরা দেখতে চাই, এমন দুর্বৃত্তপণার বিচার হয়েছে। দেখতে চাই, কোনো মেয়ে—তা সে যে–ই হোক—তার সঙ্গে এমন আচরণের অবসান হয়েছে।'
advertisement
পরীমণির অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি৷ তাই অবশেষে প্রকাশ্যেই মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি৷ ফেসবুক পোস্টের কয়েক ঘণ্টার পর সাংবাদিকদের পরী জানান, তাঁকে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম। অভিনেত্রী জানান, তাঁর ওপর নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছেন নাসির ইউ মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি।
পরী জানান, সেদিন রাতে তাঁকে পানীয়র সঙ্গে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছিল। কারণ, সারাক্ষণ তিনি প্রচণ্ড অস্থির আর অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে পরীমণির সাফ বয়ান, ‘‘আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পরে গেল) তাদের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।’’