শ্যামল চক্রবর্তীর একটি ছবি পাশে রেখে রবিঠাকুরের গান ও যে মানে না মানা গেয়েছেন উষসী। ক্যাপশনে লেখেন, ছয় অগস্ট। বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছর এত কিছু এক সাথে ঘটছিল –অপ্রত্যাশিত ভাবে এবং পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই যে আসলে কি হয়েছে সেটা বুঝতে বুঝতেই আমার গত এক বছর কেটে গেছে। এখন অবশ্য টের পাচ্ছি- শূণ্যতা, মহাশূণ্যতা, আর চরাচর ঢেকে যাওয়া বিষণ্ণতা কাকে বলে!
advertisement
তবে এই পোস্টের কমেন্টেই একজন লেখেন, "কমরেড শ্যামল চক্রবর্ত্তী লাল সেলাম। বাবার প্রতি জনগণের যে শ্রদ্ধা, সেই কথা মনে রেখে দয়া করে ছোটো বা হট প্যান্ট পরে ফেসবুকে আপলোড করে পাবলিক করবেন না।" উষসী যে একজন উদারমনস্ক মানুষ তা তাঁর অনুরাগীরা জানেন। তাই যুক্তি সহকারে যোগ্য জবাব তিনিও দিয়েছেন।
অভিনেত্রী লিখেছেন, "আমার বাবা মেয়েদের জামাকাপড় নিয়ে কোনও দিন জাজ করেননি। আর আমি কী পরব তা নিয়ে কোনও দিন নাক গলাননি। আপনি বোকা বোকা পুরুষতান্ত্রিক কথা বলা বন্ধ করুন। আমি যা পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি তাই পরব।" উষসীর এই উত্তর তাঁর অনুরাগীদের মন জয় করে নিয়েছে। এর আগেও ট্রোলড হওয়ার পরে তিনি এমনই ভদ্রভাবে স্পষ্ট জবাব দিয়ে ট্রোলারকে চুপ করিয়েছিলেন।
বাবাকে হারানোর শোক যে সারাজীবন বহন করতে হবে তা এক বছরে উপলব্ধি করেছেন উষসী। আর মা-কে হারিয়েছেন ছোটবেলায়ই। তাই বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে মায়ের সবচেয়ে পছন্দের গান গেয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি লিখছেন, "বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে কেউ প্রেমের গান গায় না। আমি গাইলাম । কারণ এই প্রেমের গানটি আমার মায়ের প্রিয়তম ছিল, সেই সুত্রে বাবারও। তাছাড়া আমার বাবা খুব রোম্যন্টিক মানুষ ছিলেন। অগস্টে চলেই গেলেন কিন্তু তার ঠিক আগের দোলেই পূর্ণিমার চাঁদ দেখবেন বলে আযোধ্যা পাহাড় ঘুরে এসেছেন।"
বাবাকে আজকের দিনে স্মরণ করে উষসী লিখেছেন, "ছোটবেলা থেকে আমার যা ট্রেনিং তাতে কোনদিনও পরলোক বলে কোথাও কিছু ছিল বলে শিখিনি। মৃত্যুর পর মানুষ প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে যায় এরকমটাই জেনে এসেছি বরাবর। তবু মনে হচ্ছে, যাঁরা বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পরও কোনও একটা ভাবে মানুষ রয়ে যান, দূর থেকে দেখতে পান সবকিছু তাঁদের জীবন ঈর্ষনীয় ভাবে সুখের। অন্তত আজকের জন্য তাদের মত করেই ভাবতে ইচ্ছে করছে।"